×

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: কণ্ঠ রোধের ভয় নয়, সাহসী সাংবাদিকতার প্রত্যয়

‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’ প্রতিপাদ্যে এ বারের বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ। সভায় কন্ঠ রোধের ভয় নয় বরং সাহসী সাংবাদিকতার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের আহবান জানানো হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

মাহফুজ আনাম বলেন, “২৬৬ জন সাংবাদিক হত্যামামলা বা সহিংসতার আসামি। বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া ১৩ জন সাংবাদিক জেলে আছে। তাঁদের মামলার অগ্রগতি নেই, তারা যদি অপরাধ করে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।”

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গণতন্ত্র বলতে সকলের কথা বলার স্বাধীনতা ও অপরের চিন্তা গ্রহণের ক্ষমতাকে বোঝায়। বিএনপিই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে ১৯৭৫ সালে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে, এবং থাকবে।”

যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, সে দেশে আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি- উল্লেখ করে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এর দায় সরকারকে দেব নাকি আর কাকে দেব জানি না।” তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে, প্রশ্ন করতে দিতে হবে।তাহলেই গণমাধ্যম মুক্তির স্বাদ পাবে।”

নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, “ফ্যাসিবাদী রিজিম এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টই প্রমাণ করে গণমাধ্যম এখনও মুক্ত নয়।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়েছে। তবে, স্বাধীনভাবে জনগণের পক্ষে কথা বলার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হস্তক্ষেপ গণমাধ্যমের উপর কমেছে তবে সামাজিক চাপ বেড়েছে।”

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment