


১৯৭১ সালের রণক্ষেত্র। চারদিকে লুটপাট আর নারী নির্যাতনের মহোৎসব। সাধারণ সৈনিকরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছে। তাদেরই একজন প্রশ্ন তুলল— ‘আমাদের কমান্ডার (জেনারেল নিয়াজী) নিজেই তো একজন ধর্ষক। তাহলে আমাদের থামাবে কে?’


১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রাক্কালে, যখন ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় সুনিশ্চিত, ঠিক সেই অন্তিম লগ্নে আল-বদর বাহিনীর নেতারা তাদের চূড়ান্ত বার্তা বা ‘আখেরি খিতাব’ দেন। এই বার্তাটি ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম বিপজ্জনক এক ঘোষণা।


১৯৯৮ সাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় ২৭ বছর পর, পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করলেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার।


১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রকৃত চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছিলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে ঘেরা পাকিস্তান থেকে বের হয়ে লন্ডনে গিয়ে তিনি প্রকাশ করেন সেই ঐতিহাসিক রিপোর্ট—“Genocide”।




ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় টাঙ্গাইল শাড়ির বুননশিল্প


বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুননশিল্প’কে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। দেশের জন্য গর্বের এই উপলক্ষ্যটি আনার যে প্রক্রিয়া, তা শুরুতেই আটকে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।


টাঙ্গাইল শাড়ির বুনন শিল্পকে ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো)। মঙ্গলবার ভারতের দিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়িতে আবারও নতুন প্রাণ পেয়ে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হলো। গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লির লালকেল্লায় এক অধিবেশনে ইউনেসকোর রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিতে (আইসিএইচ) আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের শতাব্দীপ্রাচীন টাঙ্গাইল শাড়ি।




গাজার এই ধ্বংসলীলা জগতের সামনে রূঢ় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। পৃথিবীতে মানবাধিকার বলে কি আদতে কিছু আছে? নাকি এটি কেবল শক্তিশালী দেশগুলোর সুবিধামতো ব্যবহারের জন্য তৈরি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার?


যখন কোনো জাতিগত বা ধর্মীয় সংঘাত দেখা দেয়, তখন সম্পদের অভাব, ক্ষমতা ভাগাভাগির মতো মূল কারণগুলো নিয়ে আলোচনা না করে, বলা হয় যে এগুলো হলো মানুষের 'স্বাভাবিক' বা 'ঐতিহ্যগত' সমস্যা। এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।


কারাগার কি সংশোধনাগার, নাকি মন্থর গতির এক মৃত্যুপুরী? ১০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিশ্বজুড়ে যখন শ্রেনী, ধর্ম বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের মর্যাদার কথা বলা হচ্ছে, ঠিক তখন বাংলাদেশের কারাগারের উঁচু প্রাচীরের আড়ালে চলছে এক নীরব, ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।


সেদিন ফেসবুক ঘাঁটতে গিয়ে একটি গ্রুপ চোখে পড়ল, নাম ‘আনরেডি আপুদের ছবি’। গ্রুপে গিয়ে দেখলাম, বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন বয়সী নারীর ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে। একটি ছবিতে দেখা গেল, বাসে বসে থাকা এক তরুণী ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ করে আছেন, গায়ের ওপর থেকে ওড়না খানিকটা সরে গেছে; আরেক ছবিতে ওষুধের দোকানে বোরকা ও হিজাব




বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনায় পানিতে ডুবিয়ে আটটি কুকুরছানা হত্যা, সাতক্ষীরায় বিষ প্রয়োগে ১০৮টি কবুতর নিধন এবং এর আগে রাজধানীতে বিড়ালের চোখ উপড়ে ধানমন্ডি লেকে নিক্ষেপ ও বগুড়ায় বিড়াল জবাই করার মতো ঘটনাগুলো সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।


কিছুদিন আগে ফেসবুকে ভাইরাল হয় একটি খবর। পাবনার ঈশ্বরদীতে সদ্যজাত আটটি কুকুরছানা বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে মেরে ফেলার অভিযোগে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আরও কিছুদিন আগে গ্রামীণ ফোনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাঁর আশ্রিত বিড়ালকে নিচে ফেলে দিয়ে আহত করার প্রতিবাদ করেন এক তরুণী।


মানুষের সঙ্গে প্রাণীর সখ্যতা আবহমান কালের। বর্তমানে আমাদের দেশে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বাড়িতে পোষা প্রাণী বা ‘পেট’ রাখার প্রবণতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। নিঃসঙ্গতা কাটাতে কিংবা শখের বশে অনেকেই কুকুর, বিড়ল বা পাখি পালন করছেন।


বনের কোলাহল নেই, নেই কোনো সঙ্গী। ইট-পাথরের রাজধানীতে জাতীয় চিড়িয়াখানার খাঁচায় একাকী দিন পার করছে আফ্রিকান গন্ডার, ক্যাঙ্গারু, কেশোয়ারি ও উল্লুকসহ অন্তত ১৬ প্রজাতির প্রাণী। আইনের স্পষ্ট বাধ্যবাধকতা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে এসব প্রাণীকে সঙ্গীহীন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
