গারো পাহাড়ে বন্য হাতির পৃথক আক্রমণে দুই রিকশা-ভ্যানচালকের মৃত্যু
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ভারত সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে বন্য হাতির এক দিনে পৃথক আক্রমণে দুই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের দরবেশতলা এলাকা ও সাড়ে ১০টার দিকে গজনী চৌরাস্তা এলাকায় পৃথক ঘটনায় তাঁরা মারা যান।
নিহত ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের অটোভ্যানচালক মো. আজিজুর রহমান আকাশ (৪০) ও বড় গজনী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ফিলিস মারাক (৪২)। তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় গারো পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে ২০-৩০টি হাতি দল বেঁধে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বন্য হাতির দল বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। ফসল ও জানমাল রক্ষায় এলাকার মানুষ হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কাংশা ইউনিয়নের দরবেশতলা নামক এলাকায় অটোভ্যানচালক আকাশ হাতির খুব কাছাকাছি যান। এ সময় একটি হাতি তাঁকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদপিষ্ট করে। পরে লোকজনের ধাওয়া দিলে হাতির দল সরে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আকাশকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অন্ধকারে বাকাকুড়া এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চার পথচারীর ওপর চড়াও হয় বন্য হাতির দল। তিনজন কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচলেও ফিলিস মারাক হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান। বুধবার ভোরে গজনী এলাকার শালবনে তাঁর ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত বন্য হাতি প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন বলেন, নিহত দুই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর হয়েছে।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment