×

জামায়াতের নিবন্ধন মামলার আপিলের রায় রোববার

স্ট্রিম প্রতিবেদক 

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত মামলার আপিলের রায় দেবেন। আগামীকাল (রোববার, ১ জুন) রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জামায়াতের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি লিখেন, ‘ইনশাল্লাহ আগামীকাল সকালে জামায়াতের নিবন্ধন মামলার রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।’
এর আগে, গত ১৪ মে আপিল বিভাগে মামলার শুনানি শেষ হয় এবং রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করা হয়। জামায়াতের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
শুনানিকালে আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর বিভাগের আমির মো. সেলিম উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।

মামলার পটভূমি
২০১৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করলেও শুনানিতে মূল আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ আদেশে আপিল খারিজ করেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে এবং জামায়াত নিবন্ধন হারায়।
তবে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর দেশের সর্বোচ্চ আদালত জামায়াতের আবেদন পুনরুজ্জীবিত করার অনুমতি দেন, যা দলটির জন্য নতুন করে আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত করে। এরপর ২০২৪ সালের মার্চ থেকে পুনরায় আপিল শুনানি শুরু হয়।
রায়ের ফলাফলের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আবারও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাবে কিনা এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনি ভিত্তি পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment