সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত: বজ্রপাতে নিহত ১, বাড়ছে নদীর পানি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বজ্রপাতে আয়েশা আক্তার (৬৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। ৩১ মে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আয়েশা আক্তার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের মুগুয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত কুদ্দুস আলীর স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়ির উঠানে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই সুনামগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয় বজ্রপাত। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, রক্তি ও যাদুকাটা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বাড়ায় এলাকার মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ৩০ মে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৮৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো এটি বিপৎসীমার নিচে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, শনিবার থেকে আগামী তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ সময় ভারতের মেঘালয়েও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বাড়লেও হাওরগুলোতে এখনও যথেষ্ট পানি ধারণের সক্ষমতা আছে। তাই পানি এখনই বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে নদীর পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিতে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে জেলাটিতে বন্যার শঙ্কা দেখা দেয়। এ বিষয়ে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন জানান, যেহেতু ভারতের চেরাপুঞ্জির কাছাকাছি সুনামগঞ্জ, তাই ওপারে বৃষ্টি হলে আমাদের জন্য শঙ্কা তৈরি হয়।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment