ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমা, পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়
স্ট্রিম প্রতিবেদন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ মে) সকালে কলা অনুষদের ডিন ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও কমিটির সদস্যসচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবীর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৩ মে রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। আহত অবস্থায় তাকে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
ঘটনার পর ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে। সদস্য হিসেবে ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার এবং সহকারী প্রক্টর শারমীন কবীর। পরে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়। প্রশাসনিক সহায়তায় ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) আইয়ুব আলী।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই শরীফুল ইসলাম ১৪ মে শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পৃথকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটি বলছে, শাহরিয়ার সাম্য ছিলেন মেধাবী ও সংস্কৃতিপ্রিয় একজন শিক্ষার্থী। তার হত্যার পেছনে কারা জড়িত, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment