×

কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড রংপুর-কুড়িগ্রাম

কালবৈশাখী ঝড়ে রংপুর ও কুড়িগ্রামের বেশকিছু এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টায় কুড়িগ্রাম এবং সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরে ঝড় শুরু হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এবং জাতীয় দৈনিক সমকালের খবরে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

রংপুরে প্রায় ১৫ মিনিটের এই ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তারাগঞ্জ, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলায়। এছাড়া রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উড়ে গেছে ঘরের টিনের চাল। গাছ উপড়ে ও ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ঝড়ে কিছু এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরুপণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

কুড়িগ্রামে দমকা হাওয়ার তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একরের পর একর ধানখেত।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই তাণ্ডব শুরু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি, ফসল, গাছপালা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে অন্ধকারে ডুবে আছে গ্রামাঞ্চল।

ঝড়ের প্রভাবে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার জানালার গ্লাস ভেঙে রোগীদের ওয়ার্ড তছনছ হয়ে যায়। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক সামছুল আলম জানান, ‘ঝড়ে আমাদের এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানখেত মাটিতে মিশে গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে গেছে।’

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘রাতের ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাত হওয়ায় ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।’

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment