৬ ঘণ্টার অভিযান শেষে গ্রেপ্তার মেয়র আইভি, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জের শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটির। বাড়িটি সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ওই এলাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে প্রবেশ করে পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে আইভির নেতা-কর্মীরা নেমে আসেন রাস্তায়, ছড়ায় উত্তেজনা। অবশেষে টানা ৬ ঘণ্টা অভিযান শেষে শুক্রবার ভোর পাঁচটায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, আইভির গ্রেপ্তার আটকাতে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা চুনকা কুটিরের রাস্তায় বাঁশ, ভ্যানগাড়ি, বালু ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। ফলে পুলিশ বাড়তি ফোর্স নিযুক্ত করে বাড়িটি ঘিরে রাখতে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতেই আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং ভোরে আইভীকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যান।
বাড়ির বাইরে আইভির নেতা-কর্মীরা উত্তেজনা তৈরি করলেও পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভি।
গ্রেপ্তারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় আইভিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো মামলা ছাড়াও আইভীর বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা এবং হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে আইভিকে মিনারুল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালত মামলার শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত এ নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মে হবে।
সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০০৩ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৯ আগস্ট দেশের বাকি সিটি করপোরেশনগুলোর মতো টানা তিনবার নির্বাচিত সিটি মেয়র আইভীকেও অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment