×

‘ইন্টেরিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই’: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ  

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৯ মে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।     

দলটির বিচারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে ৮ মে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। পরদিন শুক্রবার বিকেলে এ অবস্থান কর্মসূচি থেকে শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।   

শুক্রবার দুপুরে মিন্টো রোডের জমায়েত থেকে শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা আসে।    

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মূলত অগ্রগতি সেই দিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ এই টাইটেলটা পাবে- “বাংলাদেশ উইদআউট আওয়ামী লীগ”। আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। ইন্টেরিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই। ইন্টেরিমের কর্ণকুহ্বরে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই। ইন্টেরিমের কানে শহীদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই। আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় নাই। আমরা এখান থেকে এখন গিয়ে শাহবাগ অবরোধ করব, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আরও যদি ১ মাস প্রয়োজন হয়, ১ বছরও প্রয়োজন হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা এই ময়দান ছাড়ব না।’

দুপুর: মিন্টো রোডে জমায়েতের পরিস্থিতি 

দুপুরে মিন্টো রোডের জমায়েতে উপস্থিত লোকদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়, যার মধ্যে ছিল, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লী’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোর, আওয়ামী লীগের কবর খোঁড়’,  ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ ইত্যাদি। 

এনসিপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।   

এছাড়া মঞ্চে প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি এবং রাস্তায় রং দিয়ে আন্দোলনকারীদের নানা স্লোগান আঁকতে দেখা যায়।  

এ সময় গরমের তীব্রতা কমাতে জমায়েতে পানি ছিটানো হয়।

অতঃপর সরকারি বিবৃতি

শুক্রবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে যে দাবি জানানো হয়েছে, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।’

 

 

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment