কাকরাইলে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো সংস্কার, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড় অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বাস দাঁড় করিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত সাকিব হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বুধবার সারারাত আমরা এখানে ছিলাম। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি করব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না। ক্যাম্পাস থেকে আমাদের আরও ভাই-বোনেরা এখানে আসছে। আমরা দাবিতে অটল।’
বুধবার, ১৪ মে বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে ‘লং মার্চ’ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি গুলিস্তান ও মৎস্য ভবন অতিক্রম করে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর পৌঁনে ১টার দিকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে গরম পানি ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর বুধবার রাতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে ব্রিফিং করতে আসেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাঁর বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে মেতে ওঠেন। বক্তব্য চলাকালে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে কেউ একজন তাঁকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপ করেন। এতে উপদেষ্টা ব্রিফিং বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো সংস্কার, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না আসায় ক্ষোভ বাড়ছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে।
অন্যদিকে, কাকরাইল মোড়ের অবরোধের কারণে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও পথচারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment