জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ষড়যন্ত্রমূলক: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মন্তব্য করেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি আসলে একটি ষড়যন্ত্র—যার উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা। তিনি বলেন, ‘শুনতেছি অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনও চাচ্ছে। এটা সম্ভব না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি হয় শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের জন্য। আমরা সবাই জানি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে। এসব বলার মানে, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করা।’
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন।‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে শফিউল আলম প্রধানের ভূমিকা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে নানা বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সংস্কার আর গণতন্ত্রকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে নানা কৌশলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বিলম্বিত করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, অনেকে বলে আমরা নাকি সংস্কার চাই না। আমাদের চেয়ে বেশি সংস্কার তো কেউ চায় কি না, সেই প্রশ্নও ওঠা উচিত। তবে গণতন্ত্র আর সংস্কার পরস্পরবিরোধী নয়, বরং পরিপূরক। একটার জন্য আরেকটাকে আটকে রাখার সুযোগ নেই।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতারা।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সোমবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক।’
নজরুল ইসলাম খান এই দাবিকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এর বাইরে অন্য কোনো দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।’
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment