পারমিট জটিলতায় ভারতে মাছ রপ্তানি হয়নি আখাউড়া বন্দর দিয়ে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
আজ বুধবার (২১ মে) এক্সপোর্ট পারমিট লিমিট-সংক্রান্ত জটিলতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ টন হিমায়িত মাছ রপ্তানি করা হয় ভারতে। মূলত স্থলবন্দরের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস হিমায়িত মাছ।
তবে যদিও আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবারও মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, মাছের এক্সপোর্ট পারমিট লিমিট-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার মাছ রপ্তানি করা যায়নি। এদিন এ বন্দরের বদলে মৌলভীবাজারের একটি বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি করা হয়। তবে ইতোমধ্যে জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। ফলে আগামীকাল থেকে যথারীতি মাছ রপ্তানি হবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি হিমায়িত মাছ। আজ মাছের কোনো গাড়ি বন্দরে আসেনি। তবে সিমেন্ট ও ভোজ্য তেল নিয়ে ১১টি গাড়ি ভারতে প্রবেশ করেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে রপ্তনি হয় ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য। আর চলতি অর্থবছরে গেলো এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মেলামাইনসামগ্রী ও শুঁটকি।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment