×

মানবিক করিডর নয়, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ২১ মে বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

খলিলুর রহমান বলেন, ‘করিডরের বিষয়টা বুঝতে হবে। এটা হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না। যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য পথ দিয়ে সম্ভব হচ্ছে না, জাতিসংঘ আমাদের এইটুকুই বলল যে, কাছেই যেহেতু বর্ডার, তাঁদের সাহায্য করতে, যাতে ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি ও বলব না। আরাকানের যে অবস্থা তাতে করিডোরের কোনও প্রয়োজন নেই।’

এ বছরের এপ্রিলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মানবিক করিডর স্থাপনের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গ উঠলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘পররাষ্ট্র উপদেষ্টা করিডর শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন, করেই কিন্তু বলেছেন “পাথওয়ে”। সেটা স্লিপ অব টাং ছিল। কথাবার্তা অনেক সময় স্লিপ হতে পারে, কিন্তু উনি সংশোধন করেছিলেন। উনি সেই কথা আর কখনোই বলেননি।’

মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া কেমন হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে জাতিসংঘের। ওপারে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানকার নিরাপত্তা, সবকিছু তাঁদের দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত পর্যন্ত। সেখানে মাদকপাচার হচ্ছে কি না, অন্য কিছু হচ্ছে কি না, সেটা আমরা দেখব। দুই পক্ষ সম্মত হলে, সংঘাত কমলেই শুধু আমরা যাব।’

এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারের কোনো মতপার্থক্য নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।   

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

পূর্ববর্তী পোস্ট

ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ, তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

পরবর্তী পোস্ট

যানজট, বৃষ্টি আর আন্দোলনে মেট্রোরেল-যাত্রাও যেন ‘ধৈর্যের পরীক্ষা’

Post Comment