শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ রচনার পাশাপাশি একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কৃষি, পল্লী ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর অবদান স্মরণীয়। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাও ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান যুদ্ধে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীর উত্তম’ খেতাব লাভ করেন।
রয়েছে নানা আয়োজনে
গত ১৬ বছর জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে বিএনপি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পর এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৯ মে বৃহস্পতিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে শুক্রবার সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মসজিদে মসজিদে গণদোয়ার আয়োজন।
এছাড়াও রয়েছে আলোচনা সভা, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়া ও সূরা ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ। দিবসটি কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
এক রাষ্ট্রনায়কের শহিদী শাহাদাত
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করা জিয়াউর রহমান ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর খনন কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন ও যুগোপযোগী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
১৯৮১ সালের ২৯ মে এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান তিনি। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য তাঁকে হত্যা করে। সেনাসদস্যরা তাঁর লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ওই লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। শেরেবাংলা নগরে তাঁর জানাজায় শরিক হন লাখ লাখ মানুষ। বর্তমানে ‘জিয়া উদ্যান’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে শহীদ জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment