×

ভুল তথ্যের ফাঁদ: বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা ও রাজনৈতিক আদর্শ ভেদে ভুক্তভোগী যারা

৬৬ হাজার লোকের অংশগ্রহণে হওয়া এক বৈশ্বিক গবেষণায় উঠে আসে যে, ভুল তথ্য শনাক্ত করবার দক্ষতা ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক আদর্শ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়৷

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের নানা সংবাদ শিরোনাম দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় এটি সত্যি না ভুয়া এবং দেখা যায়, জেনারেশন জি, নারী, রক্ষণশীল ও স্বল্পশিক্ষিত মানুষদের মধ্যে ভুল তথ্য বিশ্বাস করার প্রবণতা বেশি।

দেখা গেছে, জেন জি এবং নারীরা ভুল তথ্য শনাক্তকরণের বিষয়ে নিজেদের দুর্বলতা সম্পর্কে জানেন। তবে আপেক্ষিকভাবে শিক্ষিত লোকেরা এক্ষেত্রে নিজেদের দুর্বলতা মানতে চান না।

ধারণা করা হয় ডিজিটাল মাধ্যম বেশি ব্যবহারের কারণে তরুণদের মধ্যে হয়তো ডিজিটাল সাক্ষরতার হার বেশি। তবে গবেষণায় এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।

গবেষকদের মধ্যে একজন, ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ড. ফ্রেডরিক গোৎজ বলেন, “এখনো জনমনে এই বদ্ধমূল ধারণা আছে যে, তরুণেরা ডিজিটাল পরিবেশের এই বিষয়গুলো ভালো বোঝে। তবে গবেষণার জগতে ইতোমধ্যে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আপনি যে-ই হন না কেন, ভুল তথ্যের হাত থেকে কেউ-ই নিরাপদ নয়। আমরা সকলেই কখনো না কখনো এর শিকার হতে পারি”।

ভুল তথ্যের প্রচার গণতন্ত্রের জন্যও হুমকি, কেননা গণতন্ত্র অনেকাংশেই নাগরিকের সচেতনতার ওপর নির্ভর করে। ড. গোৎজ আরও বলেন, “আমার ধারণা সব দেশ এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়। এমনকি, রাজনীতিবিদেরা নিজ স্বার্থে এটিকে ব্যবহারও করতে পারেন”।

গবেষণার ফল থেকে বোঝা যায়, ভুল তথ্যের প্রচার ঠেকাতে গণমাধ্যমের সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment