×

যুদ্ধ বিরতি: মোদির বাসায় নিরাপত্তা বৈঠক, চালু হচ্ছে ভারতের বিমানবন্দরগুলো

ভারত-পাকিস্তানের টানা চার দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও সীমান্তে উত্তেজনা কাটেনি। এ পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি নিজ বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন। 

সীমান্ত পরিস্থিতি, যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন তিন বাহিনীর প্রধানসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানা ৪ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার (১২ মে) নিজের বাসায় একটি বড় নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। 

ওই বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, তিন বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার বড় কর্মকর্তারা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে সীমান্তে চলা গোলাগুলি, যুদ্ধবিরতির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে কীভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো যায়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এই খবর জানা গেছে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে। 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিন ধরে সামরিক সংঘাতের পর গত শনিবার দুই দেশ যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই চুক্তি করতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী, জানিয়েছেন, পাকিস্তান নয়, বরং ভারতই যুদ্ধ থামাতে প্রথম অনুরোধ করেছিল। 

তিনি বলেন, ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান ২৬টি জায়গায় হামলা চালায়—যার মধ্যে বিমানঘাঁটি, অস্ত্রভাণ্ডার, রাডার কেন্দ্র এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনা ছিল। ভারতের সেনাবাহিনীর কিছু বড় ঘাঁটি ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র ।

সোমবার (১২ মে) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে। 

এদিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় সাময়িক বন্ধ রাখা ৩২টি বিমানবন্দরের কার্যক্রম আবারও চালু করেছে ভারত। ভারতের বিমান সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে চালু করছে ফ্লাইট।

এদিকে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন বলে জানা গেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
সব মিলিয়ে, এখন গুলি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি কাটেনি।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment