×

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগি সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মঙ্গলবার (১৩ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। আমরা একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক আচরণে বিশ্বাস করি।’

পিগট আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই—মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সংগঠনের স্বাধীনতা যেন রক্ষা করা হয়। এসব আমাদের সার্বজনীন মূল্যবোধের অংশ।’

বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে পিগট বলেন, ‘আমরা এই অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে তা আরও গভীর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কোনো উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়া এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস পাওয়া নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত।’

ভারত আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রজ্ঞাপনের পর সোমবার রাতেই দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment