মামলা মাথায় নিয়ে মধ্যরাতে দেশ ছাড়লেন আবদুল হামিদ
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন। বুধবার রাতের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাঁর বিদেশযাত্রায় আইনগত কোনো বাধা দেখা দেয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আবদুল হামিদের ভূমিকা ছিল দীর্ঘমেয়াদী। ২০১৩ সালে প্রথম দফায় ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে পুনরায় দায়িত্ব নেন এবং ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার শেষ করেন। দায়িত্ব শেষের পর তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস শুরু করেন।
তবে গত বছরের আগস্টের পর তাঁর অবস্থান নিয়ে বেশ গোপনীয়তা দেখা দেয়। জানা গেছে, আবদুল হামিদ রাজধানীর একটি নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এই সময় তাঁর নিরাপত্তা ও বাসস্থানের ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট কিছু প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের সহযোগিতা ছিল।
এদিকে, ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও গুলির ঘটনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়, যেখানে আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের নাম উঠে আসে। মামলার তালিকায় ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারবর্গের সদস্যরাও।
মামলার বিষয়টি চলমান থাকা অবস্থায় আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি, তবে নেপথ্যে কিছু প্রভাবশালী মহলের সক্রিয় সহায়তায় তিনি নির্বিঘ্নে দেশ ত্যাগ করতে সক্ষম হন বলে জানা গেছে। বিমানবন্দর প্রক্রিয়া, ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এবং যাত্রা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে তাকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়।
বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডের একটি সুপরিচিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর দেশে ফেরা এবং মামলার প্রসঙ্গে পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment