×

মৌলভীবাজার সীমান্তে ফের ১৪ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইচড়া সীমান্ত দিয়ে এবার নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে তাদের আটক করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী (বিজিবি)। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করেছে তারা। এর আগে ৭ মে জেলার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৪ জন পুরুষ, ৪ শিশু, ৫ নারীসহ মোট ১৪ জনকে কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দেয়। পরে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ‘সন্দেহজনক’ মনে করে ১৪ জনকে আটক করে মুরইছড়া ক্যাস্পে নিয়ে আসে মুরইছড়া বিজিবি টহল দল। সকালে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করে তারা।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছে মো. মফিজুল (৪৫), মল্লিকা (৪০), জরিনা খাতুন (৭৫), মো. জলিল মিয়া (৪৫), কাজলি (৪০), মিম (১৯), মমিন (৫ মাস), হাবিব (২২), ইছা মিয়া আলী (২০), কাজল (১১), আফসান (২০), আলফিনা (১৮), শাহিনা (৭) ও হালিম (১)। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থানায় বলে জানান মুরইছড়া ক্যাম্পের দায়িত্বরত বিজিবি সদস্য জাকির।

কী বলছে বাহিনী

আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, সীমান্তপথে অবৈধভাবে তারা ভারত প্রবেশ করে রাজস্থান রাজ্যের একটি ইটভাটায় কাজ করত। ভারতীয় পুলিশ তাদের বুধবার আটক করে দায়িত্বরত বিএসএফর হাতে তুলে দেয়। পরে রাতেই তাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দেওয়া হয়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার জানান, বিজিবি ‘পুশ-ইনের’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের থানায় হস্তান্তর করেছে।

৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া। সীমান্ত থেকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, আটক ১৪ জনকে ভারত থেকে ‘পুশইন’ করেছে। তারা সবাই নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগেও ঠেলে দেয় বিএসএফ

চলতি মাসে ৭ মে জেলার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে তাদের আটক করে বিজিবি। আটক ওইসব ব্যক্তির মধ্যে ৯ পুরুষ, ৩ নারী ছাড়াও ৩ শিশু রয়েছে। ঘটনটি বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিষয়টি জানাজানি হয়।

কমলগঞ্জে আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাদ দিয়ে বিজিবি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা পাঁচ বছর ধরে ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। কিন্তু ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডার এলাকায় নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তাদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বলে দাবি করেন।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment