×

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট : কোথায় বরাদ্দ বাড়ছে আর কোথায় কমছে

আজ সোমবার (২ জুন) দুপুর তিনটায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। এ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চেয়ে আসন্ন বাজেট প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। ধারণা করা হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিবর্তন আসবে কর ও শুল্ক আদায়ে। 

বরাদ্দ কমছে যেসব খাতে 

রাজস্ব আহরণে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান কমে যাওয়ায় আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম। এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং শিক্ষা খাত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। 

স্বাস্থ্য খাতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমাতে যাচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে অর্থ ব্যয় না হওয়ায় আসন্ন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।     

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কমানো হলেও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।   

বরাদ্দ বাড়ছে যেসব খাতে

জীবনমান উন্নয়ন এবং খাদ্য মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থা সুসংহত করতে নতুন বাজেটে খাদ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরে এ খাতে নয় গুণ বরাদ্দ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এবারের বাজেটে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকছে । পাশাপাশি তাঁদের করমুক্ত আয় সীমা হবে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা।  

যেসব পণ্যে শুল্ক কমছে 

৬২২টি পণ্যের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক তুলে নেওয়া বা কমানো হচ্ছে এবং বাণিজ্য বাড়াতে আরও ১০০টি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হবে। এসব পণ্যের মধ্যে আছে হিমাগারের যন্ত্রপাতি, কাগজের পণ্য, বাস, নিউজপ্রিন্ট, ক্যানসারের চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং ওষুধ ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের কাঁচামাল। 

যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়ছে

একই সাথে কর বাড়ানো হবে এসি-ফ্রিজ, রড ও স্টিল, ব্যাটারিচালিত রিকশার যন্ত্রাংশ, মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, সিগারেট ও কসমেটিক্স পণ্যে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করা, মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। সেইসাথে কৃষি খাতে মনোযোগ বাড়ানো এবং সামাজিক খাতে ব্যয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।      

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment