সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। সোমবার (২ জুন) বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন। পরে বেলা ১২ টার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা সমাবেশে জানান, অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে পবিত্র ঈদুল আজহার পর কঠোর আন্দোলন হবে। কর্মচারীরা শুধু সচিবালয়েই নয়, সারা দেশের সরকারি দপ্তরগুলোতেও আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভের পর আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন। যদিও ওই সময় দুই উপদেষ্টা দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন না। কাল মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু, এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর বলেন, ‘শুধু সচিবালয় নয়, সারা দেশের সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মচারীরা এই নিবর্তনমূলক আইনকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন এবং এর দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’
বাদীউল কবীর আরও বলেন, ‘কর্মচারীদের শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণকে যদি দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়, তাহলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।’ তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন এবং জোর দিয়ে বলেন, ‘ঈদের পর আন্দোলনে সবাই প্রস্তুত থাকবেন।’
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির পর থেকে সচিবালয়ের কর্মচারীরা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরছেন।
সরকার এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, অধ্যাদেশ বাতিল না হলে দেশের সরকারি সেক্টরে ব্যাপক কর্মবিরতি ও কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment