×

ভারত যেভাবে গোপনে ‘রাফাল’-এর ধ্বংসাবশেষ সরালো

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের প্রতিরোধে ভূপতিত ভারতের একটি রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ গোপনে সরিয়ে ফেলার প্রমাণ পেয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ফ্যাক্টচেক বিভাগ ‘বিবিসি ভেরিফাই’।

‘বিবিসি ভেরিফাই’ তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে এমন তিনটি ভিডিও চিহ্নিত করতে পেরেছে, যেখানে দেখা যায়, পাঞ্জাবের একটি কৃষিক্ষেতে রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং ভারতের সেনা সদস্যরা সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ওই তিনটি ভিডিও ক্লিপের একটিকে ‘জিওলোকেট’ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করে সেটি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাতিন্ডার কাছের একটি জায়গা বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিবিসি বাংলার এক সংবাদে জানানো হয়, ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে সেনা সদস্যরা বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসস্তূপ থেকে বিভিন্ন অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজ করছেন।

সেই একই জায়গার আরও দুটি ভিডিও বিবিসি ভেরিফাই-এর হাতে এসেছে। একটি ভিডিওতে কৃষিক্ষেতে রাফালের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্যটিতে দেখা গেছে মাঝআকাশে থেকে আগুনে জ্বলতে থাকা একটি বস্তু কৃষিক্ষেতের মাঝখানে এসে নিক্ষিপ্ত হতে।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে একটি রিস্ক ইনটেলিজেন্স সংস্থার কর্ণধার জাস্টিন ক্রাম্প বিবিসি ভেরিফাইকে জানিয়েছেন, তিনি ধারণা করছেন ওই ধ্বংসাবশেষ একটি ফরাসি এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের, যে ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মিরাজ-২০০০ ও রাফাল উভয় যুদ্ধবিমানেই ব্যবহার করা হয়।

পাকিস্তান সত্যিই ভারতের কোনো যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে কি না, এই প্রশ্নে এখনও নীরবতা ভাঙেনি ভারত।

তবে ৭ মে রাফাল প্রস্তুতকারী দেশ ফ্রান্সের উচ্চপদস্থ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে পাকিস্তান। এটিই হতে পারে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো ফ্রান্স নির্মিত অত্যাধুনিক রাফাল ধ্বংস হওয়ার ঘটনা।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করতে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানিয়েছেন, সামরিক অভিযান সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য বা ‘অপারেশনাল ডিটেলস’ প্রকাশ করা হবে না।

গত ২২ এপ্রিল ভারত–শাসিত কাশ্মীরে পহেলগামের হামলায় নিহত ২৬ নিহতের ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছিল ভারত। এ পরিস্থিতিতে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৭ মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘অপারেশন সিদুঁর’ পরিচালনা করে মোট নয় স্থানে হামলা চালায় দেশটির বিমান বাহিনী।

ওই অপারেশনের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি রাফাল, একটি করে রুশ নির্মিত সুখোই-৩০ আর একটি মিগ-২৯।

এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:

Post Comment