‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’: যা যা থাকছে এবারের আয়োজনে
এ বছর পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার বদলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
নাম বদলানোর প্রসঙ্গে চারুকলা অনুষদের ডিন বলেন, “আপনারা জানেন, ১৯৮৯ সালে আমরা এই বর্ষবরণ প্রথা শুরু করেছিলাম আনন্দ শোভাযাত্রা নামে। পরে তা মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম নেয়। এবার আমরা মূল নামকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
এ বছর শোভাযাত্রার মূল বিষয়- ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠী ও ভাষার অংশগ্রহণ এবার নিশ্চিত করা হয়েছে। এবারের বৈশাখ হবে পাহাড় থেকে সমতল- সকলের। ফ্যাসিবাদ বিরোধী বার্তাও এবারের শোভাযাত্রায় থাকবে বলে তারা জানান।
ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয় এ বছর শোভাযাত্রাটি সকাল ৯টায় চারুকলা থেকে শুরু হবে। পরবর্তীতে শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর ও বাংলা একাডেমি ঘুরে আবার চারুকলায় এসে শেষ হবে। শোভাযাত্রার সময় বারডেম, বাংলামোটর, মৎস ভবন ও পলাশী থেকে শাহবাগে আসার রাস্তা বন্ধ থাকবে। তবে নীলক্ষেত ও পলাশী থেকে প্রবেশ করা যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শোভাযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ২০টি সজ্জিত ঘোড়া এবং রিকশার বহর থাকছে। সাতটি বড় মোটিফ হিসেবে থাকছে- ফ্যাসিবাদের মুখ, কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, তরমুজের ফালি (যা ফিলিস্তিনের পতাকার মোটিফ এবং সে দেশের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহমর্মিতার প্রতীক), শান্তির পায়রা, পালকি, ও ‘মুগ্ধ’ পানির বোতল।
মাঝারি মোটিফগুলোতে থাকবে ১০টি সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, ২০টি রঙিন চরকি, আটটি তালপাতার সেপাই, পাঁচটি পাখি, চারটি পাখা, ২০টি ঘোড়া এবং ১০০টি লোকজ চিত্রাবলি।
ছোট মোটিফগুলোর মধ্যে থাকবে ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখ, ২০০টি বাঘের মুখ, ১০টি পলো, ছয়টি মাছ ধরার চাই, ২০টি মাথাল, পাঁচটি লাঙল ও পাঁচটি মাছের ডোলা।
এই কন্টেন্টটি শেয়ার করুন:
Post Comment