‘রাত আটটার পর খবর এল সিএমএইচে একটা ছোট মেয়ের মরদেহ আছে। ছুটে গেছি। গিয়ে দেখি সেটাই আমার সায়মা! কী করে চোখে দেখব বলো? এত শান্ত মুখ করে ঘুমিয়ে ছিল, যেন এখনই চোখ খুলে আমাকে বলবে, “আম্মু, তুমি কাঁদছো কেন?”’
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সকালটা ছিল একেবারেই স্বাভাবিক। ৯ বছরের ছোট্ট সায়মা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার মার চোখে চোখ রেখে বলে গিয়েছিল, ‘মা, আমি স্কুলে গেলাম…টা টা!’ স্কুলের সেই যাত্রাই হয়ে উঠল তার জীবনের শেষ যাত্রা।
রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারায় তৃতীয় শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। সায়মা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিপ্লবর্তা গ্রামের বাসিন্দা, বাবা শাহ আলম ও মা রিনা বেগমের ছোট সন্তান।
সায়মার মরদেহ রাত দেড়টার দিকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। ফ্রিজার ভ্যানের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। পুরো গ্রাম ছুটে আসে তাদের মেয়েকে একনজর দেখার জন্য।
বাড়ির উঠানে রাখা হয় তার নিথর দেহ। কাফনের কাপড়ে মোড়ানো সেই ছোট্ট শরীরটিকে ঘিরে অঝোরে কাঁদছিল বড় ভাই সাব্বির হোসেন। সে নিজেও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছে। সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে। কান্না জড়ানো গলায় সে বারবার বলছিল, ‘বোন, তুমি আমাকে রেখে চলে গেলে? আজ তুমি চুপ কেনো?’
“আম্মু, ভালো থেকো। ফিরে এসে আবার তোমাকে জড়িয়ে ধরব। কিন্তু সোমবার সে যখন বের হলো, তখন আমাকে শুধু বলল, “আম্মু, টাটা, বাই বাই”—কে জানত এটাই হবে আমার মেয়ের শেষ কথা! আমি যদি জানতাম, তাহলে তাকে বুকের মধ্যে টেনে ধরে আর ছাড়তাম না।’রিনা বেগম, নিহত শিক্ষার্থী সায়মার মা
সায়মার বাবা শাহ আলম বলেন, ‘সারা রাত খোঁজার পর সিএমএইচ থেকে মেয়ের মরদেহ নিতে হলো। গতরাতেও সে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। চুমু দিয়েছিল অসংখ্যবার। আজ আর সেই মেয়ে নেই।’
নিহত শিক্ষার্থী সায়মার মা রিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সায়মা ছিল আমার জীবনের সব। প্রতিদিন সকালেই ওকে নিজের হাতে খাইয়ে স্কুলে নিয়ে যেতাম। আমার মেয়েটা খুব হাসিখুশি ছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় বারবার ফিরে তাকাত। বলত, “আম্মু, ভালো থেকো। ফিরে এসে আবার তোমাকে জড়িয়ে ধরব। কিন্তু সোমবার সে যখন বের হলো, তখন আমাকে শুধু বলল, “আম্মু, টাটা, বাই বাই”—কে জানত এটাই হবে আমার মেয়ের শেষ কথা! আমি যদি জানতাম, তাহলে তাকে বুকের মধ্যে টেনে ধরে আর ছাড়তাম না।’
রিনা বেগম কাঁপা গলায় আরও বলেন, ‘দুপুরে দুর্ঘটনার খবর শুনে পাগলের মতো হয়ে যাই। একেক সময় একেক হাসপাতালে ছুটেছি, নাম বলেছি, ছবি দেখিয়েছি, কেউ কিছু বলতে পারছিল না। রাত আটটার পর খবর এল সিএমএইচে একটা ছোট মেয়ের মরদেহ আছে। ছুটে গেছি। গিয়ে দেখি সেটাই আমার সায়মা! কী করে চোখে দেখব বলো? এত শান্ত মুখ করে ঘুমিয়ে ছিল, যেন এখনই চোখ খুলে আমাকে বলবে, “আম্মু, তুমি কাঁদছো কেন?”’
বাবা শাহ আলম বলেন, ‘সকালেই আমি অফিসের কাজে বরিশালে রওনা হই। দুপুরে হঠাৎ এক বন্ধু ফোন করে জানায়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তখন থেকেই মেয়ের খোঁজে দিশাহারা হয়ে যাই। হাসপাতাল, স্কুল, আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে সারা দিন কেটে যায়। কিন্তু কোথাও পাইনি। রাতে জানতে পারি, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অজ্ঞাতনামা এক শিশুর মরদেহ রাখা আছে। সেখানে গিয়ে দেখি সেটাই আমার সায়মা।’
সায়মার বড় ভাই সাব্বিরের কণ্ঠে শোনা যায় হাহাকার, ‘তুই আমার কলিজা, তুই আমার জান। প্রতিদিন একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। কত কথা বলতাম, কত হাসাহাসি করতাম। আজ তুই চুপ কেন বোন?’
মেয়ের সঙ্গে রোববার রাতের স্মৃতি টেনে রিনা বেগম বলেন, ‘আমার সোনামণি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। এতবার চুমু দিয়েছে, যেন বুঝে গিয়েছিল পরদিন আর ফিরে আসবে না। এখন আমার বিছানাটা খালি, বুকের ভেতরটা খালি, আমার জীবনটাই খালি হয়ে গেল।’
সায়মা মায়ের কান্না, বিলাপ আর অসহায় আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে প্রতিবেশীরা। কেউ কিছু বলতে পারে না, শুধু মাথা নিচু করে চোখ মুছে নেয়।
সকালটা ছিল একেবারেই স্বাভাবিক। ৯ বছরের ছোট্ট সায়মা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার মার চোখে চোখ রেখে বলে গিয়েছিল, ‘মা, আমি স্কুলে গেলাম…টা টা!’ স্কুলের সেই যাত্রাই হয়ে উঠল তার জীবনের শেষ যাত্রা।
রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারায় তৃতীয় শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। সায়মা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিপ্লবর্তা গ্রামের বাসিন্দা, বাবা শাহ আলম ও মা রিনা বেগমের ছোট সন্তান।
সায়মার মরদেহ রাত দেড়টার দিকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। ফ্রিজার ভ্যানের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। পুরো গ্রাম ছুটে আসে তাদের মেয়েকে একনজর দেখার জন্য।
বাড়ির উঠানে রাখা হয় তার নিথর দেহ। কাফনের কাপড়ে মোড়ানো সেই ছোট্ট শরীরটিকে ঘিরে অঝোরে কাঁদছিল বড় ভাই সাব্বির হোসেন। সে নিজেও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছে। সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে। কান্না জড়ানো গলায় সে বারবার বলছিল, ‘বোন, তুমি আমাকে রেখে চলে গেলে? আজ তুমি চুপ কেনো?’
“আম্মু, ভালো থেকো। ফিরে এসে আবার তোমাকে জড়িয়ে ধরব। কিন্তু সোমবার সে যখন বের হলো, তখন আমাকে শুধু বলল, “আম্মু, টাটা, বাই বাই”—কে জানত এটাই হবে আমার মেয়ের শেষ কথা! আমি যদি জানতাম, তাহলে তাকে বুকের মধ্যে টেনে ধরে আর ছাড়তাম না।’রিনা বেগম, নিহত শিক্ষার্থী সায়মার মা
সায়মার বাবা শাহ আলম বলেন, ‘সারা রাত খোঁজার পর সিএমএইচ থেকে মেয়ের মরদেহ নিতে হলো। গতরাতেও সে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। চুমু দিয়েছিল অসংখ্যবার। আজ আর সেই মেয়ে নেই।’
নিহত শিক্ষার্থী সায়মার মা রিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সায়মা ছিল আমার জীবনের সব। প্রতিদিন সকালেই ওকে নিজের হাতে খাইয়ে স্কুলে নিয়ে যেতাম। আমার মেয়েটা খুব হাসিখুশি ছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় বারবার ফিরে তাকাত। বলত, “আম্মু, ভালো থেকো। ফিরে এসে আবার তোমাকে জড়িয়ে ধরব। কিন্তু সোমবার সে যখন বের হলো, তখন আমাকে শুধু বলল, “আম্মু, টাটা, বাই বাই”—কে জানত এটাই হবে আমার মেয়ের শেষ কথা! আমি যদি জানতাম, তাহলে তাকে বুকের মধ্যে টেনে ধরে আর ছাড়তাম না।’
রিনা বেগম কাঁপা গলায় আরও বলেন, ‘দুপুরে দুর্ঘটনার খবর শুনে পাগলের মতো হয়ে যাই। একেক সময় একেক হাসপাতালে ছুটেছি, নাম বলেছি, ছবি দেখিয়েছি, কেউ কিছু বলতে পারছিল না। রাত আটটার পর খবর এল সিএমএইচে একটা ছোট মেয়ের মরদেহ আছে। ছুটে গেছি। গিয়ে দেখি সেটাই আমার সায়মা! কী করে চোখে দেখব বলো? এত শান্ত মুখ করে ঘুমিয়ে ছিল, যেন এখনই চোখ খুলে আমাকে বলবে, “আম্মু, তুমি কাঁদছো কেন?”’
বাবা শাহ আলম বলেন, ‘সকালেই আমি অফিসের কাজে বরিশালে রওনা হই। দুপুরে হঠাৎ এক বন্ধু ফোন করে জানায়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তখন থেকেই মেয়ের খোঁজে দিশাহারা হয়ে যাই। হাসপাতাল, স্কুল, আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে সারা দিন কেটে যায়। কিন্তু কোথাও পাইনি। রাতে জানতে পারি, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অজ্ঞাতনামা এক শিশুর মরদেহ রাখা আছে। সেখানে গিয়ে দেখি সেটাই আমার সায়মা।’
সায়মার বড় ভাই সাব্বিরের কণ্ঠে শোনা যায় হাহাকার, ‘তুই আমার কলিজা, তুই আমার জান। প্রতিদিন একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। কত কথা বলতাম, কত হাসাহাসি করতাম। আজ তুই চুপ কেন বোন?’
মেয়ের সঙ্গে রোববার রাতের স্মৃতি টেনে রিনা বেগম বলেন, ‘আমার সোনামণি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। এতবার চুমু দিয়েছে, যেন বুঝে গিয়েছিল পরদিন আর ফিরে আসবে না। এখন আমার বিছানাটা খালি, বুকের ভেতরটা খালি, আমার জীবনটাই খালি হয়ে গেল।’
সায়মা মায়ের কান্না, বিলাপ আর অসহায় আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে প্রতিবেশীরা। কেউ কিছু বলতে পারে না, শুধু মাথা নিচু করে চোখ মুছে নেয়।
স্কুল ছুটির কিছু পরে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু আব্দুল্লাহ শামীমের জন্য ১৩ বছর বয়সী নাওয়াফ উল্লাহ তার বাবা মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ সে দেখতে পায়, একটি ছোট বিমান তাদের শ্রেণিকক্ষ ‘প্লাটিনাম’-এর নিচে আছড়ে পড়েছে। মূহুর্তে চারপাশ ঢেকে যায় আগুনের লেলিহান শিখায়।
১৩ মিনিট আগেনিজে থেকে পদত্যাগ করবার কোনো অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। তবে নিয়োগকর্তা চাইলে চলে যাবেন।
২৯ মিনিট আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন শাখার পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. আহসান হাবীবকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগেঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তন। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বাবা বিল্লাল হোসেন সেখানে এসে সরকারের কাছে অনুনয় করলেন, যেন তাঁর ছেলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সন্ধান জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে