leadT1ad

উত্তরায়–বিমান–বিধ্বস্ত /শিক্ষার্থীদের হাত ধরে বের করছিলেন লিনা, তখনই বিস্ফোরণ

গতকাল সোমবারের (২১ জুলাই) দুর্ঘটনায় ফারজানা ইয়াসমিন লিনার শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি।

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ১৯: ২৭
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তম শ্রেণির পাঠদান শেষে শিক্ষার্থীদের একে একে হাত ধরে বের করছিলেন ফারজানা ইয়াসমিন লিনা (৪৪)। ঠিক তখনই কিছু একটার বিকট শব্দ শোনেন তিনি। তাড়াহুড়ো করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে।

ফারজানা ইয়াসমিন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষক। রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের এই বাসিন্দা প্রায় ২২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করছেন।

গতকাল সোমবারের (২১ জুলাই) দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি।

ফারজান ইয়াসমিন লিনার মামা মালিবাগের বাসিন্দা জিয়াউল হক জানান, বিমান দুর্ঘটনার পরপরই লিনার স্বামী তৌফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে লিনাকে উদ্ধার করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করতে বলেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের ৫২০ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন লিনা। স্বজনদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন লিনা। তাঁর ভাষ্য, সপ্তম শ্রেণির ক্লাস শেষে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে বের করছিলেন তিনি। তখন ওপরে কিছু একটার শব্দ পান। তিনি ধারণা করেন এটি কোনো বিমান। হঠাৎ বিমানটি তাদের ভবনে আছড়ে পড়ার শব্দ শোনেন। ভবনটি কেঁপে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন তিনি। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লিনা দগ্ধ হন।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গতকাল বিকেলেই লিনাকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।

লিনার স্বামী বেসরকারি চাকরিজীবী তৌফিকুল ইসলাম চিকিৎসকের বরাতে জানান, লিনার ডায়াবেটিস আছে। তাই কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাঁর ১২-১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই হাত, মুখ ও পায়ের অংশ পুড়েছে।

গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত