স্ট্রিম প্রতিবেদক
এক দশক পর আবারও সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে-কমিশন গঠন করেছে সরকার। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে। কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ কাঠামোগত বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারি চাকরিজীবীদের আয় না বাড়ার বাস্তবতা থেকেই সরকার মনে করছে, সময় এসেছে একটি নতুন বেতন কাঠামোর। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত সরকারের সময় মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। যদিও এখন তা কিছুটা কমে এসেছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ও আয় বৈষম্য স্পষ্টভাবে বেড়ে গেছে। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে একটি সময়োপযোগী, বাস্তবভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বেতন কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে।’
তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের বর্তমান আর্থিক বাস্তবতায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে জটিল সমীকরণ তৈরি করতে পারে। বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানসংকট, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) দুর্বল বাস্তবায়ন এবং সবচেয়ে বড় কথা, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা বর্তমানে যে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, তা ২০১৫ সালে চালু হওয়া পে-স্কেলের আওতায়। এটি তখনকার মতোই এখনো যথেষ্ট আর্কষণীয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের চেয়ে ভালো সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার বাজেট বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব ব্যয়ে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। ফলে নতুন করে পে-স্কেলের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার বাড়তি খরচ সরকার কীভাবে বহন করবে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। শুধু জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
মনিরুজ্জামান মতে, পে-কমিশন গঠন নিজেই একটা বড় প্রতিশ্রুতি। আর সেটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য যে আর্থিক সামর্থ্য প্রয়োজন, তা এখনকার অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনুপস্থিত। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত রাজস্ব সংস্কার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি। এসবের পরিবর্তে ব্যয়ের নতুন খাত খোলা হলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা আরও বাড়বে।’
সব মিলিয়ে সরকারের নতুন পে-কমিশন গঠনের পেছনে বাস্তবতা যেমন আছে, তেমনি আছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে যুক্তিসংগত প্রশ্ন। বিশেষ করে যখন সরকারের বার্ষিক রাজস্ব ঘাটতি ৯৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায় এবং বাজেট বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসে নির্ভরতা বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে, তখন এই সিদ্ধান্ত কতটা টেকসই, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায় বলে মনে করছেন মনিরুজ্জামান ।
২০২৪-২৫ অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বছরে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির মুখে পড়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এনবিআরের সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অথচ আদায় হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণে সংস্কার না হলে এই ঘাটতি আরও বাড়বে। তার মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন সরকারের পরিচালন ব্যয়ে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।
২০১৩ সালে সর্বশেষ যে বেতন কমিশন গঠন হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশে ২০১৫ সালে নতুন স্কেল চালু হয়, যা বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করে দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানেও মূল্যস্ফীতি চড়া, খরচ বাড়ছে, তাই কমিশন গঠনের যৌক্তিকতা আছে। তবে রাজস্ব আদায় যদি না বাড়ানো যায়, তাহলে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। ।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৪৮৩ কোটি, কর্মচারী পর্যায়ে ৩০ হাজার ৪৮ কোটি এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
তবে নতুন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যদি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হতে পারে, যা সরকারের পরিচালন ব্যয়ের কাঠামোকে আরও ভারী করে তুলবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গঠিত একটি কমিটি এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলেও সমালোচনার মুখে সরকার তা থেকে সরে আসে। পরে বাজেটে ‘বিশেষ সুবিধা’ নামে কিছু আর্থিক সহায়তা চালু করা হয়, যাতে আংশিকভাবে বেতন বাড়ানো হয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৪৮৩ কোটি, কর্মচারী পর্যায়ে ৩০ হাজার ৪৮ কোটি এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
তবে নতুন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যদি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হতে পারে, যা সরকারের পরিচালন ব্যয়ের কাঠামোকে আরও ভারী করে তুলবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গঠিত একটি কমিটি এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলেও সমালোচনার মুখে সরকার তা থেকে সরে আসে। পরে বাজেটে ‘বিশেষ সুবিধা’ নামে কিছু আর্থিক সহায়তা চালু করা হয়, যাতে আংশিকভাবে বেতন বাড়ানো হয়।
সরকারি সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ পে-কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের আয় ও জীবনযাত্রার খরচের ব্যবধান এখন এতটাই বেড়েছে যে বাস্তবসম্মত পে-স্কেল এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’
এক দশক পর আবারও সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে পে-কমিশন গঠন করেছে সরকার। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে। কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ কাঠামোগত বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারি চাকরিজীবীদের আয় না বাড়ার বাস্তবতা থেকেই সরকার মনে করছে, সময় এসেছে একটি নতুন বেতন কাঠামোর। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত সরকারের সময় মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। যদিও এখন তা কিছুটা কমে এসেছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ও আয় বৈষম্য স্পষ্টভাবে বেড়ে গেছে। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে একটি সময়োপযোগী, বাস্তবভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বেতন কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে।’
তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের বর্তমান আর্থিক বাস্তবতায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে জটিল সমীকরণ তৈরি করতে পারে। বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানসংকট, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) দুর্বল বাস্তবায়ন এবং সবচেয়ে বড় কথা, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা বর্তমানে যে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, তা ২০১৫ সালে চালু হওয়া পে-স্কেলের আওতায়। এটি তখনকার মতোই এখনো যথেষ্ট আর্কষণীয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের চেয়ে ভালো সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার বাজেট বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব ব্যয়ে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। ফলে নতুন করে পে-স্কেলের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার বাড়তি খরচ সরকার কীভাবে বহন করবে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। শুধু জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
মনিরুজ্জামান মতে, পে-কমিশন গঠন নিজেই একটা বড় প্রতিশ্রুতি। আর সেটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য যে আর্থিক সামর্থ্য প্রয়োজন, তা এখনকার অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনুপস্থিত। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত রাজস্ব সংস্কার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি। এসবের পরিবর্তে ব্যয়ের নতুন খাত খোলা হলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা আরও বাড়বে।’
সব মিলিয়ে সরকারের নতুন পে-কমিশন গঠনের পেছনে বাস্তবতা যেমন আছে, তেমনি আছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে যুক্তিসংগত প্রশ্ন। বিশেষ করে যখন সরকারের বার্ষিক রাজস্ব ঘাটতি ৯৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায় এবং বাজেট বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসে নির্ভরতা বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে, তখন এই সিদ্ধান্ত কতটা টেকসই, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায় বলে মনে করছেন মনিরুজ্জামান ।
২০২৪-২৫ অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বছরে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির মুখে পড়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এনবিআরের সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অথচ আদায় হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণে সংস্কার না হলে এই ঘাটতি আরও বাড়বে। তার মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন সরকারের পরিচালন ব্যয়ে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।
২০১৩ সালে সর্বশেষ যে বেতন কমিশন গঠন হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশে ২০১৫ সালে নতুন স্কেল চালু হয়, যা বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করে দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানেও মূল্যস্ফীতি চড়া, খরচ বাড়ছে, তাই কমিশন গঠনের যৌক্তিকতা আছে। তবে রাজস্ব আদায় যদি না বাড়ানো যায়, তাহলে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। ।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৪৮৩ কোটি, কর্মচারী পর্যায়ে ৩০ হাজার ৪৮ কোটি এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
তবে নতুন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যদি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হতে পারে, যা সরকারের পরিচালন ব্যয়ের কাঠামোকে আরও ভারী করে তুলবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গঠিত একটি কমিটি এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলেও সমালোচনার মুখে সরকার তা থেকে সরে আসে। পরে বাজেটে ‘বিশেষ সুবিধা’ নামে কিছু আর্থিক সহায়তা চালু করা হয়, যাতে আংশিকভাবে বেতন বাড়ানো হয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৪৮৩ কোটি, কর্মচারী পর্যায়ে ৩০ হাজার ৪৮ কোটি এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
তবে নতুন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যদি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হতে পারে, যা সরকারের পরিচালন ব্যয়ের কাঠামোকে আরও ভারী করে তুলবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গঠিত একটি কমিটি এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলেও সমালোচনার মুখে সরকার তা থেকে সরে আসে। পরে বাজেটে ‘বিশেষ সুবিধা’ নামে কিছু আর্থিক সহায়তা চালু করা হয়, যাতে আংশিকভাবে বেতন বাড়ানো হয়।
সরকারি সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ পে-কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের আয় ও জীবনযাত্রার খরচের ব্যবধান এখন এতটাই বেড়েছে যে বাস্তবসম্মত পে-স্কেল এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের জাতীয় সনদের প্রাথমিক খসড়া আগামীকাল সোমবারের (২৮ জুলাই) মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
১৮ মিনিট আগে২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ হিসাব জমা দেন।
১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৯তম দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব হিসেবে পুলিশ কমিশন গঠন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এই আলোচনা শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমির আলী গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) জার্মানির একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
২ ঘণ্টা আগে