শিক্ষক দম্পতি বাবা উসাইমং মারমা ও মা ডেজি প্রু মারমার একমাত্র সন্তান ছিল উক্যছাইং মারমা। মাইনস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়ত সে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত তার মরদেহ মঙ্গলবার রাঙামাটির কিউংধং পাড়ায় নেওয়া হয়। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে তার মরদেহের শেষকৃত্য হবে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
‘আমার ছেলে জ্ঞান হারানোর আগে বাবা-মাকে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বাবা-মাকে দেখতে পারল না। কেন ছেলের সঙ্গে আমাদের মরন হলো না।’
কাঁদতে কাঁদতে মারমা ভাষায় বলছিলেন উক্যছাইং মারমার মা ডেজি প্রু মারমা। বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছিলেন তিনি।
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কিউংধং পাড়ায় গিয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে দেখা যায় এই দৃশ্য। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ে নিহত স্কুলছাত্র উক্যছাইং মারমার (১৩) মরদেহ। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে তার শেষকৃত্য হবে।
উক্যছাইং-এর মরদেহ পৌঁছানোর আগেই তার বাড়িতে ভীড় করে পাড়ার লোকজন। এর আগে তার মৃত্যুর খবরে কিউংধং পাড়া জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ পৌঁছানোর পর ডেজি প্রু মারমার কান্নার রোল যেন থামছিল না। নিজের আদরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিলাপ করতে করতে তিনি মূর্ছা যান।
উক্যছাইং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়ামে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা উসাইমং মারমা রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা ডেজি প্রু মারমা বান্দরবানের রুমা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁদের একমাত্র সন্তান উক্যছাইং মারমা।
উসাইমং মারমা অভিযোগ করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আহতদের দেখভালের বিষয়ে তেমন কিছু করা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট ঘাপলা ছিল। তবে ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন।
উক্যছাইং মারমার বাবা বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকে ছেলের মাকে সান্ত্বনা দিতে দিতে আমি নিজেই ভেঙে পড়েছি। ছেলেটা আমার শুরু থেকে ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছর সে অসুস্থ ছিল। সেই সময়ে তার চিকিৎসার জন্য করা ঋণ আমিও এখনো শোধ করতে পারিনি। এর মধ্যেই ছেলেটা আমার চলে গেল।’
উসাইমং মারমা বলেন, ‘ছেলে স্কুল ছুটির পর আমাকে ফোন দেয়, বাবা আমি ভাত খেতে যাচ্ছি। তোমার সাথে বিকালে কথা বলব। কিন্তু আমার ছেলে কাল (সোমবার) আর ফোন দেয়নি। … দুর্ঘটনার পর প্রথমে আমার ছেলেকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে কেবিনে স্থানান্তর করে। তখনই আমরা বুঝে গেছি ছেলে হয়ত আর বাঁচবে না।’
উক্যছাইং মারমার দাদা কংহ্লা প্রু মারমা বলেন, ‘নাতি ছোটবেলা বান্দরবানেই থাকত। ছুটি পেলে এখানে (বাঙালহালিয়া) আসত। আবার আমি গিয়েও নাতিকে দেখে আসতাম। গতকাল (সোমবার) যখন শুনেছি, তখন এত বড় ঘটনা হবে ভাবিনি। সে লেখাপড়ার জন্য ঢাকাতে গেছিল। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরেছে আমার নাতি।’
উক্যছাইং মারমার দাদি ক্রাপ্রুমা মারমা বলেন, ‘নাতিকে ছোটবেলায় কোলে পিঠে আদর করে মানুষ করেছি। তারা বান্দরবান থাকলেও ছুটিতে দাদুর বাড়িতে আসত। কত দুষ্টুমি করত আমার নাতিটা। তার এই মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কাল থেকে দাদু কান্না করছে, মেয়ে কান্না করছে, আমি কান্না করছি।’
আত্মীয় থুই চা চিং মারমা বলেন, ‘ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। আমার ছেলে আর সে (উক্যছাইং) একসঙ্গে মাইলস্টোন স্কুলে পড়ালেখা করে। কিছু দিন আগে ঢাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। সে পছন্দের খাবার খেতে চেয়েছিল। আমার ভাই উসাইমং-এর আর কোনো সন্তান নেই। আর একমাত্র সন্তান এখন না ফেরার দেশে চলে গেছে। এই ব্যথা সহ্য করার মতো নয়।’
উক্যছাইং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রাবাসেই থাকত। তার আত্মীয়-স্বজনরা রাজধানীতেই থাকায় মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা হতো।
‘আমার ছেলে জ্ঞান হারানোর আগে বাবা-মাকে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বাবা-মাকে দেখতে পারল না। কেন ছেলের সঙ্গে আমাদের মরন হলো না।’
কাঁদতে কাঁদতে মারমা ভাষায় বলছিলেন উক্যছাইং মারমার মা ডেজি প্রু মারমা। বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছিলেন তিনি।
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কিউংধং পাড়ায় গিয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে দেখা যায় এই দৃশ্য। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ে নিহত স্কুলছাত্র উক্যছাইং মারমার (১৩) মরদেহ। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে তার শেষকৃত্য হবে।
উক্যছাইং-এর মরদেহ পৌঁছানোর আগেই তার বাড়িতে ভীড় করে পাড়ার লোকজন। এর আগে তার মৃত্যুর খবরে কিউংধং পাড়া জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ পৌঁছানোর পর ডেজি প্রু মারমার কান্নার রোল যেন থামছিল না। নিজের আদরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিলাপ করতে করতে তিনি মূর্ছা যান।
উক্যছাইং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়ামে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা উসাইমং মারমা রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা ডেজি প্রু মারমা বান্দরবানের রুমা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁদের একমাত্র সন্তান উক্যছাইং মারমা।
উসাইমং মারমা অভিযোগ করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আহতদের দেখভালের বিষয়ে তেমন কিছু করা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট ঘাপলা ছিল। তবে ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন।
উক্যছাইং মারমার বাবা বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকে ছেলের মাকে সান্ত্বনা দিতে দিতে আমি নিজেই ভেঙে পড়েছি। ছেলেটা আমার শুরু থেকে ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছর সে অসুস্থ ছিল। সেই সময়ে তার চিকিৎসার জন্য করা ঋণ আমিও এখনো শোধ করতে পারিনি। এর মধ্যেই ছেলেটা আমার চলে গেল।’
উসাইমং মারমা বলেন, ‘ছেলে স্কুল ছুটির পর আমাকে ফোন দেয়, বাবা আমি ভাত খেতে যাচ্ছি। তোমার সাথে বিকালে কথা বলব। কিন্তু আমার ছেলে কাল (সোমবার) আর ফোন দেয়নি। … দুর্ঘটনার পর প্রথমে আমার ছেলেকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে কেবিনে স্থানান্তর করে। তখনই আমরা বুঝে গেছি ছেলে হয়ত আর বাঁচবে না।’
উক্যছাইং মারমার দাদা কংহ্লা প্রু মারমা বলেন, ‘নাতি ছোটবেলা বান্দরবানেই থাকত। ছুটি পেলে এখানে (বাঙালহালিয়া) আসত। আবার আমি গিয়েও নাতিকে দেখে আসতাম। গতকাল (সোমবার) যখন শুনেছি, তখন এত বড় ঘটনা হবে ভাবিনি। সে লেখাপড়ার জন্য ঢাকাতে গেছিল। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরেছে আমার নাতি।’
উক্যছাইং মারমার দাদি ক্রাপ্রুমা মারমা বলেন, ‘নাতিকে ছোটবেলায় কোলে পিঠে আদর করে মানুষ করেছি। তারা বান্দরবান থাকলেও ছুটিতে দাদুর বাড়িতে আসত। কত দুষ্টুমি করত আমার নাতিটা। তার এই মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কাল থেকে দাদু কান্না করছে, মেয়ে কান্না করছে, আমি কান্না করছি।’
আত্মীয় থুই চা চিং মারমা বলেন, ‘ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। আমার ছেলে আর সে (উক্যছাইং) একসঙ্গে মাইলস্টোন স্কুলে পড়ালেখা করে। কিছু দিন আগে ঢাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। সে পছন্দের খাবার খেতে চেয়েছিল। আমার ভাই উসাইমং-এর আর কোনো সন্তান নেই। আর একমাত্র সন্তান এখন না ফেরার দেশে চলে গেছে। এই ব্যথা সহ্য করার মতো নয়।’
উক্যছাইং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রাবাসেই থাকত। তার আত্মীয়-স্বজনরা রাজধানীতেই থাকায় মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা হতো।
গার্ড অব অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কবর জিয়ারত ও মোনাজাতে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেএ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯০তম বর্ষপূর্তির বর্ণাঢ্য উৎসব। ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী উৎসবটি হয়ে উঠেছে আবেগে পরিপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগেভারত সরকারের দাবি, তাঁরা অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, এদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর ভারতীয় নাগরিক।
২ ঘণ্টা আগে