leadT1ad

এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে রাজনীতিকসহ বিভিন্নজনের শোক

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
স্ট্রিম গ্রাফিক

এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার (এ কে খন্দকার) বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কর্মীরা।

এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল। স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।

এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যথী। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ কে খন্দকারের মাগফেরাত ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল।

গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শোকবার্তায় দলটি বলেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে এ কে খন্দকার মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে অসামান্য নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। যুদ্ধকালীন সামরিক পরিকল্পনা, সমন্বয় ও নেতৃত্বে তাঁর অবদান স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এতে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে এ কে খন্দকার পেশাদারিত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, নীতিবান ও দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক, যাঁর জীবন ও কর্ম জাতির জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ছাত্র নেতৃত্বের দল এনসিপি।

এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানবাহিনীর ঐতিহাসিক ‘কিলোফ্লাইটের’ অপারেশন পরিচালিত হয়েছিল। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

উপদেষ্টা তাঁর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শোক জানিয়েছে। শোক বার্তায় আইএসপিআর জানায়, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে জাতি এক গর্বিত সন্তানকে হারাল। তাঁর প্রয়াণে দেশ গভীরভাবে শোকাহত। এ কে খন্দকারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শোক বার্তায় গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত