leadT1ad

নির্বাচনে প্রার্থীদের অস্ত্র রাখার সুযোগ দিতে আচরণবিধি সংশোধনের ইঙ্গিত ইসি সচিবের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৮
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। সংগৃহীত ছবি

আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের অস্ত্র রাখার বিষয়ে প্রয়োজন হলে নির্বাচনী আচরণবিধিতে সংশোধন আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা চাইলে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাবেন এবং যাঁরা পূর্বে অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যে এসব ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষেই গ্রহণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা সবাই একমত যে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

আখতার আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে এ বিষয়ে আচরণবিধির সঙ্গে সরাসরি কোনো বিরোধ দেখা যাচ্ছে না। তবে সময়ের প্রয়োজনে আচরণবিধির কোথাও সামান্য সংশোধন, সংযোজন বা সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন তা করবে।

ভোটের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিধান প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, এটি সময় ও পরিস্থিতিনির্ভর বিষয়। যখন বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা, আগমনের সময়সূচি এবং কার্যক্রমের বিস্তারিত পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক দলকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে।

এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে তুরস্কসহ আরও দু-একটি দেশ ও সংস্থা থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলেও জানান ইসি সচিব। এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত