স্ট্রিম সংবাদদাতা

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হলেও নয়াদিল্লি যে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চায় না, তারই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিল ভারত। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অংশ নিতে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) কয়েক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে জয়শঙ্কর ঢাকা ছাড়েন।
এই স্বল্প সফরে জয়শঙ্কর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ব্যক্তিগত চিঠি হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকেও শোকবার্তা পৌঁছে দেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুপুরে ঢাকায় পৌঁছে জয়শঙ্কর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার প্রতি ভারতের গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
সংক্ষিপ্ত সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসা পাকিস্তানের পার্লামেন্ট স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিকসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকজন শীর্ষ প্রতিনিধির সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জয়শঙ্করই প্রথম ভারতীয় মন্ত্রী, যিনি ঢাকা সফরে এলেন। জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্কের অবনমন লক্ষ করা যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাঁর ঢাকা সফরকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের একটি স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ভোটমুখী বাংলাদেশে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ও ভারতবিরোধী রাজনীতির উত্থানে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। এই আবহে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেও সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে ঝুঁকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা জয়শঙ্করের সফরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা এবং শোকযাত্রায় জয়শঙ্করের উপস্থিতি—দুটিই ভারতের সুপরিকল্পিত কূটনৈতিক উদ্যোগ। আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও স্থিতিশীল সরকার দেখতে চায় নয়াদিল্লি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যাম কুমার মনে করেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোকবার্তা এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপস্থিতি—এই দুটি পদক্ষেপই দিল্লির একটি সুস্পষ্ট ও সচেতন কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতিফলন। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে যে শীতলতা লক্ষ করা গেছে, এই পদক্ষেপ তার ভারসাম্য রক্ষারই একটি প্রয়াস।
ড. শ্যাম কুমার বলেন, এই উদ্যোগ কেবল শোকপ্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভারতের কৌশলগত আগ্রহও। নয়াদিল্লি চায় বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আসুক, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বিশ্লেষণে, বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে সঙ্গে রাখাই ভারতের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের ফেলো আশিস কুমার মনে করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তাঁর মতে, এই সফর কেবল আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা বা সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ার চলমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের কৌশলগত অবস্থান স্পষ্ট করে।
আশিস কুমার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে পাকিস্তান ও চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা বা দূরে সরিয়ে রাখা হলে তা আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত উভয় দেশের স্বার্থেই ক্ষতিকর হবে। তাঁর বিশ্লেষণে, দিল্লির উচিত ঢাকার সঙ্গে সক্রিয় কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। জয়শঙ্করের সফর সেই বাস্তবতারই প্রতিফলন।
গুরু গভিন্দ সিং ইন্দ্রপ্রস্থ ইউনিভার্সিটির কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. প্রিয়াঙ্কা সচদেবা মনে করেন, খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশজুড়ে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। এমন এক সংবেদনশীল সময়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপস্থিতি কেবল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও মানবিক—উভয় দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রিয়াঙ্কা সচদেবার মতে, শোকের মুহূর্তে ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে যে দূরত্ব ও অবিশ্বাসের আবহ তৈরি হয়েছে, এই ধরনের সফর তা কাটিয়ে ওঠার একটি সুযোগ তৈরি করে। তাঁর বিশ্লেষণে, জয়শঙ্করের সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইঙ্গিত দেয় এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ জোরদারের ক্ষেত্রেও এটি একটি কার্যকর উপলক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হলেও নয়াদিল্লি যে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চায় না, তারই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিল ভারত। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অংশ নিতে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) কয়েক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে জয়শঙ্কর ঢাকা ছাড়েন।
এই স্বল্প সফরে জয়শঙ্কর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ব্যক্তিগত চিঠি হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকেও শোকবার্তা পৌঁছে দেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুপুরে ঢাকায় পৌঁছে জয়শঙ্কর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার প্রতি ভারতের গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
সংক্ষিপ্ত সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসা পাকিস্তানের পার্লামেন্ট স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিকসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকজন শীর্ষ প্রতিনিধির সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জয়শঙ্করই প্রথম ভারতীয় মন্ত্রী, যিনি ঢাকা সফরে এলেন। জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্কের অবনমন লক্ষ করা যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাঁর ঢাকা সফরকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের একটি স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ভোটমুখী বাংলাদেশে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ও ভারতবিরোধী রাজনীতির উত্থানে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। এই আবহে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেও সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে ঝুঁকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা জয়শঙ্করের সফরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা এবং শোকযাত্রায় জয়শঙ্করের উপস্থিতি—দুটিই ভারতের সুপরিকল্পিত কূটনৈতিক উদ্যোগ। আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও স্থিতিশীল সরকার দেখতে চায় নয়াদিল্লি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যাম কুমার মনে করেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোকবার্তা এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপস্থিতি—এই দুটি পদক্ষেপই দিল্লির একটি সুস্পষ্ট ও সচেতন কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতিফলন। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে যে শীতলতা লক্ষ করা গেছে, এই পদক্ষেপ তার ভারসাম্য রক্ষারই একটি প্রয়াস।
ড. শ্যাম কুমার বলেন, এই উদ্যোগ কেবল শোকপ্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভারতের কৌশলগত আগ্রহও। নয়াদিল্লি চায় বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আসুক, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বিশ্লেষণে, বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে সঙ্গে রাখাই ভারতের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের ফেলো আশিস কুমার মনে করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তাঁর মতে, এই সফর কেবল আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা বা সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ার চলমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের কৌশলগত অবস্থান স্পষ্ট করে।
আশিস কুমার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে পাকিস্তান ও চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা বা দূরে সরিয়ে রাখা হলে তা আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত উভয় দেশের স্বার্থেই ক্ষতিকর হবে। তাঁর বিশ্লেষণে, দিল্লির উচিত ঢাকার সঙ্গে সক্রিয় কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। জয়শঙ্করের সফর সেই বাস্তবতারই প্রতিফলন।
গুরু গভিন্দ সিং ইন্দ্রপ্রস্থ ইউনিভার্সিটির কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. প্রিয়াঙ্কা সচদেবা মনে করেন, খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশজুড়ে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। এমন এক সংবেদনশীল সময়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপস্থিতি কেবল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও মানবিক—উভয় দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রিয়াঙ্কা সচদেবার মতে, শোকের মুহূর্তে ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে যে দূরত্ব ও অবিশ্বাসের আবহ তৈরি হয়েছে, এই ধরনের সফর তা কাটিয়ে ওঠার একটি সুযোগ তৈরি করে। তাঁর বিশ্লেষণে, জয়শঙ্করের সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইঙ্গিত দেয় এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ জোরদারের ক্ষেত্রেও এটি একটি কার্যকর উপলক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে শোক জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিঠিটি তারেক রহমানকে হস্তান্তর করেন।
২ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে, আজ দুপুর তিনটার দিকে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বুধবার সকাল। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি পাড়া। এদিনের শীতের সকালটা যেন একটু বেশিই মলিন, কুয়াশাচ্ছন্ন। খুব কাছের কারো চলে যাওয়ার খবরে পাড়ার আকাশে-বাতাসে যেন প্রিয়জন হারানোর ব্যথা।
৩ ঘণ্টা আগেবিদায়ী বছরের শেষ দিনে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদর আর হিমেল হাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে