leadT1ad

জেলখানায় ভোটগ্রহণের পদ্ধতি জানাল নির্বাচন কমিশন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
প্রতিটি কারাগারে দুই সদস্যের একটি টিম নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্ট্রিম গ্রাফিক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ (সংশোধন ২০২৫)-এর বিধি ১০ক অনুযায়ী, ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে আটক ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইসিতে সংযুক্ত) মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদিত হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার করা হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য জেলখানা কর্তৃপক্ষ দুজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে।

নিবন্ধন শেষে কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষরসহ নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করবেন।

নিবন্ধিত ভোটাররা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। কমিশন থেকে পাওয়া এই খামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি, একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা সংবলিত একটি ফেরত খাম থাকবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ আটক ভোটারদের জন্য গোপন ভোটকক্ষ প্রস্তুত করে পরিবেশ নিশ্চিত করবে। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না; শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সংবলিত চূড়ান্ত তালিকা সরবরাহ করবে।

সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে এবং গণভোটের ব্যালটে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হলে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।

ভোট দেওয়ার পর ভোটার ব্যালট পেপার দুটি ছোট খামে রেখে বন্ধ করবেন। এরপর ব্যালট পেপার সংবলিত খাম ও স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে ভরবেন। সবশেষে খামটি বন্ধ করে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।

ভোটগ্রহণ শেষে জেলখানা কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সব খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবে। যত দ্রুত সম্ভব তারা খামগুলো নিকটস্থ ডাকবিভাগে পাঠাবে। ডাক বিভাগও দ্রুততার সঙ্গে তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, এই খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল দিতে হবে না। এটি বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত