leadT1ad
সরাসরি

উই হ্যাভ এ প্ল্যান, সবাই সহযোগিতা করুন: তারেক রহমান

১৬: ৩৭

উই হ্যাভ এ প্ল্যান, সবাই সহযোগিতা করুন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে তাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। জনগণ সহযোগিতা করলে বিএনপি তা বাস্তবায়ন করবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর পূর্বাচলে জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে (৩০০ ফিট) দল থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

মার্টিন লুথারের আই হ্যাভ অ্যা ড্রিমের উক্তি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ফর বাংলাদেশ’। এই প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা লাগবে। আপনারা পাশে থাকেন ও সহযোগিতা করেন এ প্ল্যান আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। যদিও বক্তৃতা শেষে আবার তারেক রহমান গিয়ে তার বক্তব্য সংশোধন করেন। আই হ্যাভ এ প্ল্যানকে বলেন, উই হ্যাভ এ প্ল্যান।

জনগণের প্রত্যাশিত দেশ গড়ার লক্ষ্য তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, একজন মা যেমন স্বপ্ন দেখেন, তেমন নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। জনগণের প্রত্যাশিত দেশ গড়তে চাই। এজন্য প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে।

তিনি বলেন, আসুন আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করি– হে সর্বশক্তিমান, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, আপনি আপমাদের সাহায্য করুন। আপনার রহমত করলে আমরা জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।

১৬: ০৭

নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘একজন মা যেমন স্বপ্ন দেখেন, তেমন নিরাপদ দেশ গড়ে তুলতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে দল থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় একথা বলেন তিনি। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধনের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভাষণ শুরু করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট এদেশের সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন। এখন আমরা সবাই মিলে নিরাপদ দেশ গড়ে তুলতে চাই।’

মঞ্চে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলটির শরিক রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয় নেতাকে সশরীরে সামনে পেয়ে নেতা-কর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

১৫: ৫৪

জনস্রোত পেরিয়ে মঞ্চে তারেক রহমান

জনস্রোত পেরিয়ে মঞ্চে তারেক রহমান

লাখো নেতাকর্মীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, জনস্রোত ঠেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) নির্মিত মঞ্চে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন জীবনের ইতি টেনে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশের মাটিতে পা রাখার পর দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে গিয়ে পৌঁছান। এসময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাল-সবুজ রঙের একটি বাসে করে সংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তার সঙ্গে বাসে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে সমবেত হন।

তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গেসঙ্গেই উপস্থিত জনতার মধ্যে বাঁধভাঙা উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। ‘বীরের বেশে, তারেক রহমান আসছে ফিরে বাংলাদেশে’সহ বিভিন্ন স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা।

জনস্রোত পেরিয়ে মঞ্চে তারেক রহমান
জনস্রোত পেরিয়ে মঞ্চে তারেক রহমান

নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে এক কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরাও মানববর্ম তৈরি করে তাকে মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। পূর্বাচলে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৪৮ ফুট দীর্ঘ ও ৩৬ ফুট প্রস্থের বিশাল মঞ্চ। তার আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনাস্থলে বুধবার থেকেই সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

১৫: ৩১

সুরা আল ইমরানের আয়াত উল্লেখ করে তারেক রহমানের পোস্ট

জনস্রোত ঠেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) নির্মিত মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতাদের বহনকারী বুলেটপ্রুফ বাসসহ গাড়িবহর। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য দেবেন। গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

যাতে সুরা আল ইমরানের আয়াত উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্‌! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যান আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।’

১৫: ১৬

জনস্রোতে শ্লথ তারেক রহমানের গাড়ি, মঞ্চে চলছে বক্তৃতা

জনস্রোতে শ্লথ তারেক রহমানের গাড়ি, মঞ্চে চলছে বক্তৃতা

রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) প্রবেশ করেছে তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতাদের বহনকারী বুলেটপ্রুফ বাসসহ গাড়িবহর। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জনস্রোত ঠেলে এগোচ্ছে গাড়িবহর।

সংবর্ধনা-মঞ্চে এখন বিএনপির নেতারা বক্তৃতা করছেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের সভায় একমাত্র বক্তা তারেক রহমান।

বহুল আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেনের’ সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক রহমান। রিমান্ডে থাকাকালে শারীরিক নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন। ১৮ মাস কারাভোগের পরে লন্ডনে যান চিকিৎসার জন্য। এরপর কেটেছে ১৭ বছরেরও বেশি সময়।

দেশে ফিরে দীর্ঘদিন পর সশরীরে জনসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তারেক রহমান। তাঁকে একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে ছুটে এসেছেন দলে নেতাকর্মীরা।

১৪: ৫৬

মঞ্চে নেতাকর্মীরা, ধীরগতিতে তারেক রহমানের গাড়িবহর

মঞ্চে নেতাকর্মীরা, ধীরগতিতে তারেক রহমানের গাড়িবহর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে’ (৩০০ ফিট) আয়োজিত অভ্যর্থনা-মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের সভায় একমাত্র বক্তা হিসেবে তারেক রহমান বক্তব্য রাখবেন। তবে মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি ও দলটির বিভিন্ন শরিক রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তারেক রহমান অস্থায়ী মঞ্চে এসে পৌঁছাবেন।

১৪: ২৩

তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে সপরিবারের প্রত্যাবর্তনে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান জামায়াত আমির। তিনি লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

১৩: ৪৭

তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সারজিস আলমের পোস্ট

তারেক রহমানকে দেশে স্বাগত জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আেইডিতে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরেছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা।’

১৩: ২৭

পূর্বাচলের পথে তারেক রহমান: নজিরবিহীন ‘মানববর্ম’

পূর্বাচলের পথে তারেক রহমান: নজিরবিহীন ‘মানববর্ম’

নেতাকর্মীদের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজসিক প্রত্যাবর্তন করেছেন প্রায় দেড় যুগ যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এখন পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থলের পথে রয়েছেন। এসময় তারেক রহমানের বাস ঘিরে অসংখ্য সেনা, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের পায়ে হেঁটে মানববর্ম তৈরি করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেখা যায়।

মানববলয়ে তারেক রহমানের গাড়িবহর
মানববলয়ে তারেক রহমানের গাড়িবহর

গাড়িবহরকে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রটোকল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও পুরো বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সড়কটির মাঝে ও দুইপাশে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও র‌্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।

অন্তত শতাধিক গাড়ি সম্বলিত তারেক রহমানের গাড়ি বহরের অগ্রভাগে দেখা গেছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মোটরসাইকেল বহর। এরপর আছে সেনাবাহিনী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনস সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যদের গাড়িবহর। এসময় তারেক রহমানকে বহনকারী বাসের চারপাশে পায়ে হেঁটে মানববর্ম তৈরি করে সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।

সড়কের পাশের নেতাকর্মীদের ঢল
সড়কের পাশের নেতাকর্মীদের ঢল

১৩: ১৯

গুলশানে ‘১৯৬’ বাড়িতে জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে এসে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ নিরাপত্তায় ১২টা ৫৭ মিনিটে গুলশানের বাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। অন্যদিকে তারেক রহমানকে নিয়ে তাঁর গাড়িবহর যাচ্ছে পূর্বাচলে ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে’ তৈরি সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে।

পূর্বাচলে এক্সপ্রেসওয়েতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
পূর্বাচলে এক্সপ্রেসওয়েতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল

১২: ৫৬

পূর্বাচলের পথে তারেক রহমান, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসে চড়ে ৩০০ ফিটে সংবর্ধনা স্থলে রওনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি সড়ক পথে লাল-সবুজ রঙে সাজানো বাসে করে রওনা দেন। একই বাসে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

তবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের গাড়ি বেশ ধীরে ধীরে পূর্বাচলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কাউকে তাঁর গাড়ির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। একারণে সড়কের পাশে এবং অলিগলির মুখে দাঁড়িয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। গাড়ির ভেতর থেকে হাত নেড়ে তার জবাব দিচ্ছেন তারেক রহমানও।

এর আগে অন্য একটি গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে বের হন তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও একমাত্র সন্তান জাইমা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।

তিনশ ফিটের পথে তারেক রহমান। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ থেকে
তিনশ ফিটের পথে তারেক রহমান। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ থেকে

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিএনপির এই শীর্ষ নেতা পূর্বাচল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।

১২: ৫১

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

দেশের মাটিতে পা রাখার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় ড. ইউনূসের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তারেক রহমান।

প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার নিরাপত্তার জন্য আপনারা বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

১২: ৪৫

মঞ্চের এলইডি স্ক্রিনের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

মঞ্চের এলইডি স্ক্রিনের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে ৩০০ ফিটের তৈরি করা মঞ্চের দিকে রওনা হয়েছেন। সেই দৃশ্য সরাসরি দেখানো হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে-জুড়ে বসানো এলইডি স্ক্রিনে। তা দেখতে স্ট্রিনের সামনে ভিড় করেছেন বিনএনপির নেতাকর্মীরা।

বেলা ১২টার দিকে পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (তিনশ ফিট) এই দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে-জুড়ে বিভিন্ন স্থানে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। সকাল থেকে সে সব স্ক্রিনে মঞ্চের বক্তা ও বিভিন্ন ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। তবে তারেক রহমান অবতরণের পর সে দৃশ্য লাইভ শুরু হয়। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন লোকজন। তারেক রহমানকে স্ক্রিনে দেখার পর বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাঁদের।

১২: ৩৮

পূর্বাচলে ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ সেবা দিচ্ছে বিএনপি

পূর্বাচলে ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ সেবা দিচ্ছে বিএনপি

পূর্বাচলে লাখো নেতাকর্মী অপেক্ষা করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক নজর দেখতে। তাঁদের সুবিধার্থে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দিচ্ছে বিএনপি। ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় দেখা গেছে, দুজন ব্যক্তি তাঁদের কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ঘুরছেন। সেই ব্যাগে সৌরবিদ্যুৎ সদৃশ একটা ছোট ডিভাইস। ব্যাগের পেছনে লেখা, ‘স্বাগতম প্রাণ প্রিয় নেতা। স্ক্যান কিউআর ফ্রি ওয়াইফাই।’

ওই দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌরবিদ্যুৎ-সদৃশ ডিভাইসগুলো আসলে ওয়াইফাই রাউটার। সমাবেশস্থলের ইন্টারনেট সরবরাহ করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।

রাউটার নিয়ে ঘুরে বেরানো পৃতেশ নামে একজন বলেন, ‘এখানে প্রচুর মানুষ, নেটের চাপ আছে। প্রচুর মানুষ হবে এবং নেট থাকবে না, এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। তাই রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নাহিদ নামে আরেকজন বলেন, ‘পুরোপুরি নেট সেবা আমরা দিতে পারছি না। তবে চেষ্টা করছি, যেন অল্প হলেও নেট সেবা দেওয়া যায়।’

১২: ৩৬

জুতা খুলে দেশের মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান

জুতা খুলে দেশের মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান

বিমানবন্দরের বাইরের এসে গাড়িতে ওঠার আগে হঠাৎ করে পাকা সড়ক ছেড়ে পাশের ফুলের বাগানের গিয়ে দাঁড়ান তারেক রহমান। সেখানে পায়ের জুতা খুলে সবুজ ঘাসে পা রাখেন তিনি। এসময় গভীর আবেগে দেশের মাটি স্পর্শ করেন তিনি।

পরে লাল সবুজ গাড়িতে ওঠে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে রওয়ানা দেন। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সেখান থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

১২: ১৬

দেশের উন্নয়ন যেন সবাই ভোগ করতে পারে, প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের

দেশের উন্নয়ন যেন সবাই ভোগ করতে পারে, প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের

প্রায় ১৭ বছর দেশে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপাসন তারেক রহমান। তাঁর দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলে ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে’ সারা দেশ থেকে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এমন দেশ চাই, যেখান থেকে কোনো দলকে পালিয়ে যেতে হবে না। দেশের উন্নয়ন যেন সবাই ভোগ করতে পারে।

তারেক রহমান স্বাগত জানাতে চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর থেকে গতকাল রাতেই ঢাকায় এসেছেন মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান নামে একজন বিএনপি কর্মী। ১৭ বছর পর প্রত্যাবর্তন করা তারেক রহমানের কাছে প্রত্যাশা কী, জানতে চাইলে আতিয়ার রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘গত সতেরো বছর ধরে দেশে দুর্নীতি হয়েছে, অপশাসনের কালচার গড়ে উঠেছে, তারেক রহমান সেই নীতি ভেঙে দেবেন; সেই আশা করি। তিনি এসে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলবেন ইনশাআল্লাহ।’

আতিয়ার রহমান আরো বলেন, ‘এমন দেশ আশা করি, যেখানে সবাই সুখে শান্তিতে বাস করতে পারবে। দেশের উন্নয়ন, সুবিধা সবাই ভোগ করবে। একটা দল সব সুবিধা ভোগ করবে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শুধু এই দলের নেতা কর্মীই সব সুবিধা ভোগ করবে, তারেক রহমান এই নীতি বন্ধ করে দেবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাই আশা করি’

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার পেশায় ফলের আড়ৎ পরিচালনা করেন। সেইসঙ্গে চাষ করেন বিভিন্ন সবজি ও ফল। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামে থাকি, সেখানেই বড় হয়েছি। মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। সবার ব্যপারে মানবিক থাকতে চাই। আমার নেতা তারেক রহমানও মানবিক মানুষ। তিনি দেশে ফিরে একটি মানবিক দেশ গড়ে তুলবেন, আপাতত এটাই প্রত্যাশা।’

১২: ০৬

তারেক রহমানের আগমনের খবরে পূর্বাচলে দোয়া

তারেক রহমান বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করেছেন, এমন খবরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেছেন বিএনপির নেতা কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানের অবতরণের খবর আসে। এরপর পূর্বাচলের সমাবেশের মঞ্চ থেকে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

১১: ৪২

১৭ বছর পর ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ঢাকার মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। এরপরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সপরিবারে তারেক রহমান
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সপরিবারে তারেক রহমান

এর সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ১ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারেক রহমান পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন বুলেটপ্রুফ বাসে। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

১১: ৩২

‘আজকে কোনো শীত নাই’

‘আজকে কোনো শীত নাই’

সকাল থেকে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় কাঁধে ধানের বোঝা নিয়ে ঘুরছেন এক তরুণ। আলাপকালে জানা গেলো, তাঁর নাম মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। বাড়ি শেরপুরে নকলা এলাকায়। শীতের হিমেল বাতাসেও খালি গায়ে গলায় ঝুলিয়েছেন বিএনপির দলীয় পতাকা।

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতেই এমন রূপে গ্রাম থেকে ঢাকায় হাজির হয়েছেন এই তরুণ। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিয়াজ স্ট্রিমকে বলেন, ‘গতকাল রাতে শেরপুর থেকে ঢাকা এসে। তারেক ভাইকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তারপর বাড়ি যাব।’

ধানের বোঝা নিয়ে ঘোরার কারণ জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, ‘ধানের শীষ তারেক ভাইয়ের মার্কা। তারেক ভাইকে ভালোবাসি। তাঁকে ভালোবেসে শীষ না, ধানের বোঝা নিয়ে এসেছি।’

খালি গায়ে শীত লাগছে না প্রশ্ন করলে রিয়াজ বলেন, ‘তারেক ভাই দেশে আসতেছেন। আজকে আমাদের কোনো শীত নাই, কোনো কষ্ট নাই। আজকে শুধু গরম আর গরম।’

দেশে ফেরার পর সপরিবারে তারেক রহমান। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে
দেশে ফেরার পর সপরিবারে তারেক রহমান। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে

১১: ২৪

‘একটা মানুষ এতদিন পরে দেশে ফিরছে, এটাই আনন্দের’

প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ১ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর সকাল ১১টা ৪ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে বিমানটি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

এদিকে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত থেকেই অপেক্ষা করছেন দলের নেতাকর্মীরা। রাস্তায় পাটি বিছিয়ে, কম্বল জড়িয়ে অবস্থান করছেন তারা। মাদারীপুর থেকে গত রাতে রাজধানীতে এসেছেন জলিল ফকির। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘‘১৭ বছর তারেক রহমান দেশে আসতে পারেন নাই। একটা মানুষ এতদিন পরে দেশে ফিরছে, এটাই আনন্দের বিষয়।’

তিন শ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল
তিন শ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল

তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমার বাড়ি মাদারীপুর। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত যশোরে থাকতাম। কারণ আমার জায়গা জমি দখল করে রেখেছিল অন্যরা। আমাকে আমার বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গত বছর ৫ আগস্ট নিজের বাড়িতে ঢুকে বুঝতে পেরেছি, ঘরে ফেরা কী আনন্দের!’

রাজশাহীর পবা থেকে এসেছেন সেলিম রেজা। মাথায় ধানের শীষ দিয়ে বিশেষভাবে বানানো টুপি পরে ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের মহান নেতা একটু পরে আমাদের সামনে আসবেন। এরচেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না।’

শীতে যাতায়াতে কষ্ট হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, ‘নেতাকে দেখার আনন্দে আছি। কষ্টকে কষ্ট মনে হচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম থেকে আসা মামুন নামে একজন বলেন, ‘তারেক রহমান আসবেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি জয়যুক্ত হয়ে সোনার দেশ গড়ে তুলবেন, সেই প্রত্যাশা নিয়ে অসুস্থ্য শরীরে এখানে এসেছি।’

১১: ২০

বিমানবন্দর সড়কে বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঢল

বিমানবন্দর সড়কে বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঢল

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছেন। নানা ধরনের ব্যানার ও পোস্টার হাতে তারা স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছেন। তাদের শৃঙ্খলায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিমানবন্দরে প্রবেশের দুই গেট—গোলচত্বর ও বেবিচক সদর দপ্তরের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় অবস্থান নিয়েছেন। এই দুই গেটের রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। তাদের হাতে নানা ধরনের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন রয়েছে। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে পুরো এলাকা। বিশেষ করে উত্তরা এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা এখানে অবস্থান নিয়েছেন।

১১: ০৯

সিলেট থেকে ঢাকার পথে তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইট

সিলেটে ১ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি। সকাল ১১টা ৪ মিনিটে বিমানটি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান করছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা
জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান করছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারেক রহমান পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন বুলেটপ্রুফ বাসে। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

এর আগে গতকাল লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার ৬টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ফ্লাইটটি।

১১: ০৩

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে শাহজালালে বিএনপির নেতারা

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে শাহজালালে বিএনপির নেতারা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে সেটির ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার কথা।

১০: ০৭

ওসমানীতে অবতরণ করেছে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান

ওসমানীতে অবতরণ করেছে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এরমধ্য দিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন তারেক রহমান। যাত্রায় তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত বাণিজ্যিক বিজি-২০২ ফ্লাইটটি (বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার) সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার ৬টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ফ্লাইটটি। ঢাকায় অবতরণের অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করার কথা রয়েছে।

১০: ০৭

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট এবং গুলশানসহ বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

০৯: ৫৮

দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেই তারেক রহমানের পোস্ট

দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেই তারেক রহমানের পোস্ট

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি সিলেট ওসামানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’ সঙ্গে যোগ করেছেন বিমানের জানালা থেকে আকাশে চোখ রাখা একটি ছবি।

০৯: ৫১

দেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

দেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যে অবিস্মরণীয় ঘটনা আজকে ঘটতে যাচ্ছে, আজকে দেশবাসী সেটা দেখবেন। আমরা দেখব। সারা বিশ্ববাসী দেখবেন। ইনশাল্লাহ আমরা আশা করি, এই মুহূতটিকে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে পালন করতে পারব ভবিষ্যতের জন্য।’

মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে, তিনি দেশে ফেরার পর কী ধরনের পরিবতর্ন আসবে—এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর অবিরাম সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি গণতন্ত্রের জন্য। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমাপ্তি হয়েছে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট পালিয়েছে। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র অবমুক্ত হয়েছে। আমরা সেই রকম একটি আবহে আজকে একত্রিত হব। বাংলাদেশের এই মুহূর্তটি অবশ্যই অবিস্মরণীয়। বিশ্বের যারা গণতন্ত্রিক, গণতান্ত্রিক বিশ্ব, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই সংগ্রাম করেছে তাদের জন্য এটি একটি উপমা হবে।’

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন, দেশে এখনো বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। গতকাল মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এই বিষয়গুলো কীভাবে দেখছেন—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং তাদের দোসররা দেশে এবং বিদেশে সক্রিয়। তারা চেষ্টা করবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে যেন কণ্টকাকীর্ণ করতে পারে। বাধাগ্রস্ত করতে পারে। পারতপক্ষে নির্বাচনকে বানচাল করতে পারে। অবশ্যই সেটা দুঃস্বপ্ন, আপনারা সেটা সামনে দেখতে পাবেন। যারা এ সমস্ত প্রক্রিয়ায়, সন্ত্রাসী কায়দায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে তাদেরকে আমরা সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করব ইনশাল্লাহ।’

০৯: ৩৮

ওসমানী বিমানবন্দরেও কড়া নিরাপত্তা

ওসমানী বিমানবন্দরেও কড়া নিরাপত্তা

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি এরইমধ্যে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলেও সেখানে নামবেন না তিনি। তবে তাঁর আগমন উপলক্ষে এ বিমানবন্দরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে বহনকারী বিমানের আগমন ও বহির্গমনের সময় সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।

বিএনপির পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মীদের ওসমানী বিমানবন্দরে ভিড় না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকার সমাবেশে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী যোগ দিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

০৯: ২৬

তারেক রহমানকে বহনে গাড়িবহর বিমানবন্দরে

তারেক রহমানকে বহনে গাড়িবহর বিমানবন্দরে

তারেক রহমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর গুরুতর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। তাঁকে বহনের জন্য গাড়ি বহর এরই মধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করেছে।

গাড়িবহরে ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি ছাড়াও একটি বুলেটপ্রুফ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস রয়েছে। বাসটির সামনে ও পাশে লেখা আছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। গাড়িতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁদের সন্তান তারেক রহমানের ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাসযোগেই তারেক রহমান এভারকেয়ারের পথে যাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

ইতোমধ্যেই তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলসহ দলটির সিনিয়র নেতারা।

তারেক রহমানকে বহনে আনা বুলেটপ্রুফ বাস। স্ট্রিম ছবি
তারেক রহমানকে বহনে আনা বুলেটপ্রুফ বাস। স্ট্রিম ছবি

এভার কেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় দলের পক্ষ থেকে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত গণ-অভ্যর্থনা মঞ্চে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে থাকবেন।

০৯: ১৪

বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ ভোর থেকেই বিমানবন্দরের দুই প্রধান গেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। যাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সন্দেহভাজন হলেই তাকে তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে।

বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, ডিএমপির পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গেটের সামনে কোনও সাধারণ লোককে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রী ছাড়া আর কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছে, সকাল থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এপিবিএনের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়—এমন কোনও কর্মকাণ্ড এখানে করতে দেওয়া হবে না।

এপিবিএন, ডিএমপি ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বিমানবন্দরের আশপাশের মূল সড়কগুলোতে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। এসময় তারা হাতে নানা ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করছেন।

০৯: ১১

সারা দেশে ১০ ‍রুটে বিশেষ ট্রেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সকালে নেতাকর্মীদের ঢল

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে মানুষের আসার সুযোগ করতে ১০টি পথে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে ভাড়ার বিনিময়ে আজ এসব ট্রেন চলছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ১১টি বিশেষ ট্রেন চালুর আবেদন করা হয়েছিল। ইঞ্জিন-সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত ১০টি ট্রেন চালু করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ট্রেনে ১৭টি বাড়তি কোচ যুক্ত করা হয়েছে।

সারা দেশ থেকে বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট গাড়ির পাশাপাশি এসব ট্রেনে করে গতকাল বুধবার থেকেই ঢাকায় আসছেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের অভ্যর্থনা উপলক্ষে অধিকাংশ ট্রেন বিমানবন্দর রেলস্টেশন হয়ে আসবে। সেখান থেকে পূর্বাচলে যাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় কমলাপুরে এ সংক্রান্ত ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা কম।

০৯: ০৬

তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত থেকেই অপেক্ষা

তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত থেকেই অপেক্ষা

প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত থেকেই অপেক্ষা করছেন দলের নেতাকর্মীরা। রাস্তায় পাটি বিছিয়ে, কম্বল জড়িয়ে অবস্থান করছেন তারা। ভোর হতে হতেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলটির নেতাকর্মীরা। এতে রাজধানীর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বসানো মঞ্চস্থল।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত মঞ্চ ও এর আশপাশে অবস্থান করে দেখা গেছে, তারেক রহমানকে এক নজর দেখার অপেক্ষায় কেউ কেউ রাস্তায়, কেউ বিভাজকে পাটি বিছিয়ে শুয়ে-বসে রাত পার করছেন। এসময় রাস্তায় পাটি বা পলিথিন বিছিয়ে কম্বল গায়ে জড়িয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের। কোথাও কোথাও খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে চেষ্টা চলছে নিজেদের উষ্ণ রাখার।

ভোর থেকেই ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ এলাকায় তৈরি করা মঞ্চের সামনে মানুষের ঢল
ভোর থেকেই ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ এলাকায় তৈরি করা মঞ্চের সামনে মানুষের ঢল

এসব নেতাকর্মীরা এসেছেন ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তাঁদেরই একজন দিনাজপুরের আসাদুল। কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘অনেক দূর থেকে এসেছি, শুধু প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য। এটা তো শুধু এই রাতের ব্যাপার না। তাঁকে দেখতে আসলে কত বছরের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা।’

তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে তিনি দেশের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর অসুস্থ মায়ের কাছে যাবেন। নিজের মাতৃভূমিকে স্পর্শ করতে পারবেন। এই সময়টা আসলে ঐতিহাসিক। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতেই এই তীব্র শীতে আমরা এখানে অবস্থান করছি।’

মঞ্চস্থলে ভোর থেকেই বিভিন্ন গ্রুপে জটলা পাকিয়ে স্লোগান চলছে। এসব জটলা থেকে ‘তারেক রহমানের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’; ‘আজকের এই দিনে, জিয়া তোমায় পড়ে মনে’; ‘তারেক রহমান আসছে, রাজপথ কাঁপছে’; ‘খালেদা, জিয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নাম ধরেও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা
হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা

০৯: ০৩

যুগপৎ সঙ্গীরাও থাকবেন মঞ্চে

তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির বাইরেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী যুগপৎ আন্দোলনের নেতারাও থাকবেন। জানা গেছে, তাঁদের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে ‘বিশেষ কার্ড’ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের মঞ্চে যেতেও অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তারেক রহমানকে বরণে গোটা জাতি প্রস্তুত।’

০৯: ০৩

মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতই অগ্রাধিকার

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর গুরুতর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া। তবে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় দলের পক্ষ থেকে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত গণ-অভ্যর্থনা মঞ্চে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে থাকবেন।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তারেক রহমান ৩০০ ফিট এলাকায় গণ-অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন। এরপর সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে যাবেন। সেখানে মায়ের পাশে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। পরে হাসপাতাল থেকে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তিনি।’

০৮: ৫৭

থাকছে ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প ও ছয় সজ্জার ফিল্ড হাসপাতাল

থাকছে ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প ও ছয় সজ্জার ফিল্ড হাসপাতাল

সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট সড়ক) তারেক রহমানের জনসমাবেশ উপলক্ষে ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করছে বিএনপি। যেখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের পাশাপাশি প্যারামেডিক, ওষুধপত্র ও আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

এছাড়াও মঞ্চের কাছাকাছি ছয় সজ্জার একটা ‘ফিল্ড হাসপাতালও’ থাকবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

এছাড়া বিমানবন্দরগামী ও বিদেশ ফেরত যাত্রী এবং রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিমানবন্দর সড়কের কাকলি মোড়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ও আব্দুল্লাহপুর; এই তিনটি স্থানে হেল্প ডেস্ক থাকবে। যাঁরা মোটরবাইক স্কটের মাধ্যমে যাত্রাপথকে নির্বিঘ্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

০৮: ৪৮

গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিএনপির অভ্যর্থনা কেন্দ্র

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল বুধবার ব্রিফ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জনদুর্ভোগ পরিহার করতে তারেক রহমান সরকারি ছুটির দিনকে তাঁর প্রত্যাবর্তনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এদিন রাজধানীতে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের প্রবেশপথ ধরে যানবাহন অবস্থান ও অভ্যর্থনা কেন্দ্র নির্ধারণ করে দিয়েছে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, এসব অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলোর জন্য দলের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব অভ্যর্থনা কেন্দ্রে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। তাঁরা সারা দেশ থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন পয়েন্টের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, দলীয় আয়োজনে সায়েদাবাদ অভ্যর্থনা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করা গাড়ি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পার্কিং করবে। একইভাবে শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ী পয়েন্টের গাড়িগুলো সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও মহাখালী বাস টার্মিনালে পার্কিং করবে। নয়াবাজার বাবুবাজার ব্রিজ পয়েন্টের গাড়িগুলো ফুলবাড়ীয়া গুলিস্থান বাস টার্মিনাল ও মহাখালী বাস টার্মিনালে পার্কিং করবে। এছাড়াও পোস্তগোলা ব্রিজের উপর, ধোলাইপার মোড়, কমলাপুর রেল স্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অভ্যর্থনা কেন্দ্র থাকবে।

আর ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পয়েন্টের মধ্যে আব্দুল্লাহপুর অভ্যর্থনা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুর এন্ট্রি পয়েন্টের গাড়ি তুরাগ মাঠে পার্কিং করা হবে। আর তিন শ ফিট সড়কের নীলা মার্কেট অভ্যর্থনা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে কাঞ্চন ব্রিজ-তিন শ ফিট হয়ে এন্ট্রি পয়েন্টের গাড়িগুলো বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করবে অথবা নীলা মার্কেটে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে, সেখানে করবে। যে দুই জায়গাতেই মেডিকেল টিমসহ অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

রাজধানীর মিরপুরে দিয়াবাড়ি অভ্যর্থনা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে গাবতলী এন্ট্রি পয়েন্টের গাড়ি বেড়িবাঁধ হয়ে উত্তরা দিয়াবাড়ি গরুরহাট ১৭ নম্বর সেক্টরে পার্কিং করবে। আর চীনমৈত্রী হলের পাশে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ অভ্যর্থনা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে বসিলা মোহাম্মদপুর হয়ে আসা গাড়ি হলের পাশে বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করা হবে। এছাড়াও মহাখালী বাস টার্মিনাল ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন অভ্যর্থনা কেন্দ্র থাকছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।

০৮: ৪৫

তারেক রহমানের দেশে ফেরার রোডম্যাপ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ‘স্পষ্ট নির্দেশনা’র কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তার চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ মা, বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন। এরপর তিনি যেতে চান তাঁর পিতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারতে। যেতে চান ভাইয়ের (আরাফাত রহমান কোকো) কবরের পাশে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের এক নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বৃহস্পতিবার সিলেটে যাত্রাবিরতির পর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে অনাড়ম্বর অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে তিনি তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যাবেন। পরে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, যেটা ৩০০ ফিট বললে সবাই চেনেন, সেখানে যাবেন। পথিমধ্যে তিনি ‘অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করবেন।

তিনি আরও জানান, প্রত্যাবর্তনের পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা জিয়াউর রহমানের মাজার ও সাভার স্মৃতিসৌধে যাবেন তারেক রহমান। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে এনআইডি কার্যক্রম শেষ করে শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন তিনি।

৩০০ ফিট সড়কের অনুষ্ঠান দলীয়ভাবে ছোট পরিসরে রাখতে চাইলেও তা বড় আয়োজনে পরিণত হবে বলেও ইঙ্গিত দেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই আয়োজনের কলেবর যত ছোটই রাখতে চাই না কেন, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষমাণ দেশের সব প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা রাজধানীমুখী স্রোত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নেই। তারপরেও আমরা আমাদের নেতাকর্মী সমর্থকদের নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে তাদের বেশিরভাগ (পূর্বাচলের) কাঞ্চন ব্রিজ ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ তার ইতিহাসের বৃহত্তম জনসমাবেশ সাক্ষী হতে চলছে, সেই ইতিহাস দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই সুবিশাল আয়োজন নিশ্ছিদ্র বা ত্রুটিহীন করা আমাদের কর্মীদের পক্ষে, এমনকি দলের পক্ষেও সম্ভব নয়। তারপরেও আমাদের স্বনির্বন্ধ অনুরোধ থাকবে স্বতঃস্ফূর্ত নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি— আপনারা সর্বোচ্চ ধৈর্য ও শৃঙ্খলা পরিচয় দিয়ে প্রমাণ করুন। আপনারা আমাদের প্রিয় নেতাকে কতটা গভীর ভালোবাসায় অভিষিক্ত করতে সক্ষম।’

০৮: ৪৪

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরবেন তিনি।

গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইটটির রওনা হয়েছেন। সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর সঙ্গে থাকছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। আরও থাকছে তাঁর আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’।

হিথ্রো বিমানবন্দরে বিমানে উঠার আগে। জায়মা রহমানের ফেসবুক থেকে নেওয়া
হিথ্রো বিমানবন্দরে বিমানে উঠার আগে। জায়মা রহমানের ফেসবুক থেকে নেওয়া

সব ঠিক থাকলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ঢাকায় অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করবে।

ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও প্রটোকলে তিনি পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। মঞ্চে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের যুগপৎ সঙ্গী শরিক দলের শীর্ষ নেতারাও থাকবেন। তবে মঞ্চে শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখবেন।

নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করেন তারেক রহমান
নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করেন তারেক রহমান