leadT1ad

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আসছে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০২
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বড় আকারের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে আসছে। আজ বিকেলে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

আখতার আহমেদ জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট সম্পাদিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অবজারভেশন মিশন পাঠাবে।

এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য আইভার্স ইজাবসকে প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ইইউর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসিও গতকাল রাতেই এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইসি সচিব। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কেবল ডেলিগেশন লিডারের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে উল্লেখ করে ইসি সিনিয়র সচিব বলেন, তিনি হলেন আইভার্স ইজাবস, যিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সদস্য। ডেলিগেশনের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি, পর্যবেক্ষকের সংখ্যা, আগমন পর্যায় এবং কার্যপরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

আখতার আহমেদ জানান, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে মোট ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসতে পারেন। তবে কারা আগে আসবেন, কতজন আসবেন বা পরবর্তীতে আরও কেউ যুক্ত হবেন কিনা—এসব বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের যাতায়াত, চলাচলসহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ও প্রশাসনিক সুবিধা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রদান করবে নিশ্চিত করব তিনি জানান, তবে তাদের (ইইউ) ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রোটোকল মেনে চলার বিষয়ে স্পষ্ট অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিশেষ করে সংবেদনশীল এলাকায় চলাচলের সময়।

ইসি সচিব জানান, বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বাংলাদেশের বিদ্যমান নীতিমালা ও বিধিবিধান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের মানতে হবে—এ বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা যে কোনো ধরনের ইকুইপমেন্ট বা অ্যাকসেসরিজ সাময়িকভাবে দেশে আনলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ডিক্লারেশন প্রদান করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চুক্তির বিষয়ে গণমাধ্যমকে আগে না জানানোর ব্যাখ্যায় আখতার আহমেদ বলেন, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর থেকে চুক্তিটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি প্রকাশ করেছে।

প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে ইসি কোনো অপব্যাখ্যা দিতে চায় না। তবে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন হলে আচরণবিধিতে সময়োপযোগী সমন্বয় বা সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি।

বৈধ অস্ত্র জমা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নে ইসি সিনিয়র সচিব বলেন, এসব বিষয় নির্দিষ্ট সময় ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিবেচনায় আসে। আগাম সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত