leadT1ad

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: আলামত জব্দের বিবরণ দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২০
শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও অবলম্বনে প্রতীকী ছবি। স্ট্রিম গ্রাফিক

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন সাক্ষ্য দেন। এটি ছিল তার জবানবন্দির দ্বিতীয় দিন।

এদিন তিনি আদালতের কাছে তদন্ত চলাকালে জব্দকৃত আলামতের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। বিশেষ করে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় কবে, কোথা থেকে এবং কোন প্রক্রিয়ায় আলামত সংগ্রহ ও জব্দ করা হয়েছে, তার দালিলিক ও পদ্ধতিগত দিকগুলো জবানবন্দিতে উঠে আসে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। রোববার ট্রাইব্যুনালের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেলের অপর সদস্য হলেন জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আইন অনুযায়ী, তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর উপস্থিত ও পলাতক আসামিদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন। এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এ মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৬২ জন। এ পর্যন্ত ২৫ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন মামলার ২৫তম সাক্ষী হিসেবে গত ১৮ ডিসেম্বর জবানবন্দি শুরু করেছিলেন।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ২২তম সাক্ষী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ জবানবন্দি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি তার সাক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং সেফ হাউসে আটক রাখার বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেন এবং ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণের বিষয়ে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে এই মামলা পরিচালিত হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন ছয় জন। তারা হলেন, এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ বাকি ২৪ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের আইনি সুরক্ষার জন্য গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন এবং ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২৭ আগস্ট প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত