leadT1ad

হাদিকে গুলি: সন্দেহভাজন শ্যুটার ও স্বজনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

হাদির ওপর সন্দেভাজন হামলাকারী। ছবি: ডিএমপি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান, তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠানসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্ট্রিমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য মাসুদের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপেল সফট আইটি লিমিটেড’। এটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে বেসিসের সহযোগিতা এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকও মাসুদ।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় শ্যুটার হিসেবে নাম এসেছে মাসুদের। তিনি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য ছিলেন মাসুদ।

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর মাসুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে দুবারের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে।

ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে মাসুদের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি ১২ ডিসেম্বর ওসমান হাদির নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছিলেন মাসুদ।

এরইমধ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদাবর থানায় মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মাসুদ। পরে ওই বছরের ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব। তখন মাসুদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, তিনটি মোবাইল ফোন ও পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছিল।

ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মাসুদ। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে এক বছর মঞ্জুর করেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত