leadT1ad

যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৯

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৫
যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের প্রভিডেন্স শহরে অবস্থিত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুক হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও নয়জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বারাস ও হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের ভেতরে ঘটে।

সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ভবনটির দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা গেলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করেন।

ঘটনাস্থলেই বা অল্প সময়ের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী মারা যান। আহত নয়জনের বেশিরভাগের অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল। শুরুতে আহতের সংখ্যা আটজন বলা হলেও পরে কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করে নয়জন নিশ্চিত করে।

ঘটনার পর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ জরুরি সতর্কবার্তা পাঠায়। পুরো ক্যাম্পাসে লকডাউন জারি করা হয়। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অবস্থানে নিরাপদে থাকতে বলা হয়। অনেকে ডরমিটরি, শ্রেণিকক্ষ ও অন্যান্য ভবনে দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নেন।

প্রভিডেন্স পুলিশসহ অঙ্গরাজ্য ও ফেডারেল সংস্থার প্রায় ৪০০ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য অভিযানে অংশ নেন। ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। সন্দেহভাজন ধরা না পড়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলাকারী একজন পুরুষ। তিনি কালো পোশাক পরিহিত ছিলেন। ঘটনার পর তিনি হেঁটে পালিয়ে যান। এখনো হামলার উদ্দেশ্য জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তাও নিশ্চিত করা হয়নি।

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়। শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং সেবা চালু করা হয়। প্রভিডেন্স শহরের মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ফেডারেল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তিনি নিহত ও আহতদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। একজন শিক্ষার্থীর মায়ের কাছে পাঠানো বার্তা বিশেষভাবে আলোচিত হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘দৌড়াতে যাচ্ছি, ভালোবাসি।’

চিয়াং-হেং চিয়েন নামের এক শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, তারা চারজন একটি গবেষণাগারে কাজ করছিলেন। সে সময় মোবাইলে এক ব্লক দূরেই বন্দুক হামলার বার্তা পান। তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিলেন।

এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাম্পাস নিরাপত্তা ও অস্ত্র সহিংসতা নিয়ে চলমান জাতীয় বিতর্ককে আবার সামনে নিয়ে এসেছে। রোড আইল্যান্ডে কঠোর অস্ত্র আইন থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত