স্ট্রিম ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে, আজ দুপুর তিনটার দিকে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরের আগেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়। এরপর জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, মেট্রোস্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফুটপাতেও দাঁড়িয়ে যান। সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার জানায় পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জানাজার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তৈরি হয়, খালেদা জিয়ার জানাজায় কত মানুষ এসেছিল?
ডিজিটাল অনুসন্ধানমূলক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিসেন্ট এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে। সংবাদমাধ্যমটি খালেদা জিয়ার জানাজায় সম্ভাব্য উপস্থিতি বের করার চেষ্টা করেছে।
এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এবং আশপাশের এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে মানিক মিয়া এভিনিউর সঙ্গে সংযুক্ত সব সড়কে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত জানাজায় দাঁড়াতে হয়েছে অংশগ্রহণকারী মানুষকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কোন কোন সড়কের কতটুকু এলাকাজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার বিবরণের আলোকে সংবাদমাধ্যমটি হিসাব করে দেখার চেষ্টা করেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার গ্রাউন্ড এবং সব রাস্তা মিলিয়ে মোট কতটুকু জায়গায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তাতে আনুমানিক লোকসংখ্যা মোট কত হতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মূল মাঠ এবং সেটির ডান দিকে মাঠ, সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দুই পাশ, খামারবাড়ি মোড় থেকে ফার্মগেট হয়ে কারওয়ান বাজার মোড়, আবার ফার্মগেট থেকে বিজয় সরণী মোড় হয়ে বিজয় সরণী মেট্রোস্টেশন থেকে আগারগাঁও মেট্রোস্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাতারবদ্ধ হয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন।
আবার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সামনের রাস্তা পুরোটায় জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন। অন্যদিকে শিশুমেলা থেকে আসাদগেট হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত রাস্তায় জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন।
গুগল ম্যাপ থেকে এই পুরোটা রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ১৩ দশমিক ০৪ কিলোমিটার (প্রশস্ততার কারণে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুই পাশের লেনকে আলাদা দুটি রাস্তা হিসেবে গণ্য করে)।
গুগল ম্যাপে কারওয়ান বাজার থেকে আগারগাঁওয়ের রাস্তার প্রশস্ততা ১০০ ফুট বা ৩০ মিটার পাওয়া গেলেও দুই দিকের ফুটপাতের জন্য ২০ ফুট বাদ দিয়ে ৮০ ফুট বা ২৪ মিটার ধরা হয়েছে। আর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনের রাস্তা গুগল ম্যাপ মতে, ১৫০ ফিট প্রশস্ত। অর্থাৎ, দুই দিকের লেনকে দুটি আলাদা রাস্তা (৮০ ফুটের) ধরে হিসাব করা যায়।
মোট ১৩ দশমিক ০৪ কিলোমিটার রাস্তা ২৪ মিটার প্রশস্ততায় মোট জায়গার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল হক দ্য ডিসেন্টকে বলেছেন, স্বাভাবিক হিসাবে কোনো সমাবেশে এক বর্গমিটারে ৪ জন মানুষ দাঁড়ান। তবে আজকের সিচুয়েশনে বর্গমিটার প্রতি ৬ থেকে ৮ জন মানুষ ছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলের মতানুযায়ী, প্রতি বর্গমিটারে ন্যুনতম ৬ জন ধরলে ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার রাস্তায় মোট লোক সংখ্যা ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬০ জন হওয়ার কথা।
গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার যে দুটি মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই দুটি আকার যথাক্রমে ২৫,৭২৮ বর্গমিটার এবং ৬১,৯০৮ বর্গমিটার বা মোট ৮৭ হাজার ৬৩৬ বর্গমিটার। আর সব রাস্তা এবং দুটি মাঠ মিলে মোট ৪ লাখ ৫৯৬ বর্গমিটার এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতি বর্গমিটারে ৬ জন করে হিসাব করলে এই দুই মাঠে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৬ জন লোকের জায়গায় হওয়ার কথা। অর্থাৎ, দুই মাঠ এবং সব রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ বর্গমিটার এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে ৬ জন করে ধরলে ২৪ লাখ মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন। যদি প্রতি বর্গমিটারে ৪ জন করে হিসাব করা হয়, তাহলে মোট সংখ্যা অন্তত ১৬ লাখের মতো।
আর বর্গকিলোমিটার প্রতি ৮ জন করে হিসাব করলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ লাখ। এই আনুমানিক হিসাবে আশপাশের এলাকার ছাদে, গলি রাস্তা বা ওপরে উল্লিখিত রাস্তাগুলোর বাইরে অন্যান্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে যারা জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের হিসাব অন্তর্ভূক্ত নয়।
ফুট নোটে দ্য ডিসেন্ট বলেছে, এটি ওপেন সোর্স তথ্যের ভিত্তিতে একটি অনুমান। মোট জানাজায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে, আজ দুপুর তিনটার দিকে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরের আগেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়। এরপর জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, মেট্রোস্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফুটপাতেও দাঁড়িয়ে যান। সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার জানায় পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জানাজার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তৈরি হয়, খালেদা জিয়ার জানাজায় কত মানুষ এসেছিল?
ডিজিটাল অনুসন্ধানমূলক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিসেন্ট এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে। সংবাদমাধ্যমটি খালেদা জিয়ার জানাজায় সম্ভাব্য উপস্থিতি বের করার চেষ্টা করেছে।
এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এবং আশপাশের এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে মানিক মিয়া এভিনিউর সঙ্গে সংযুক্ত সব সড়কে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত জানাজায় দাঁড়াতে হয়েছে অংশগ্রহণকারী মানুষকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কোন কোন সড়কের কতটুকু এলাকাজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার বিবরণের আলোকে সংবাদমাধ্যমটি হিসাব করে দেখার চেষ্টা করেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার গ্রাউন্ড এবং সব রাস্তা মিলিয়ে মোট কতটুকু জায়গায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তাতে আনুমানিক লোকসংখ্যা মোট কত হতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মূল মাঠ এবং সেটির ডান দিকে মাঠ, সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দুই পাশ, খামারবাড়ি মোড় থেকে ফার্মগেট হয়ে কারওয়ান বাজার মোড়, আবার ফার্মগেট থেকে বিজয় সরণী মোড় হয়ে বিজয় সরণী মেট্রোস্টেশন থেকে আগারগাঁও মেট্রোস্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাতারবদ্ধ হয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন।
আবার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সামনের রাস্তা পুরোটায় জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন। অন্যদিকে শিশুমেলা থেকে আসাদগেট হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত রাস্তায় জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন।
গুগল ম্যাপ থেকে এই পুরোটা রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ১৩ দশমিক ০৪ কিলোমিটার (প্রশস্ততার কারণে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুই পাশের লেনকে আলাদা দুটি রাস্তা হিসেবে গণ্য করে)।
গুগল ম্যাপে কারওয়ান বাজার থেকে আগারগাঁওয়ের রাস্তার প্রশস্ততা ১০০ ফুট বা ৩০ মিটার পাওয়া গেলেও দুই দিকের ফুটপাতের জন্য ২০ ফুট বাদ দিয়ে ৮০ ফুট বা ২৪ মিটার ধরা হয়েছে। আর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনের রাস্তা গুগল ম্যাপ মতে, ১৫০ ফিট প্রশস্ত। অর্থাৎ, দুই দিকের লেনকে দুটি আলাদা রাস্তা (৮০ ফুটের) ধরে হিসাব করা যায়।
মোট ১৩ দশমিক ০৪ কিলোমিটার রাস্তা ২৪ মিটার প্রশস্ততায় মোট জায়গার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল হক দ্য ডিসেন্টকে বলেছেন, স্বাভাবিক হিসাবে কোনো সমাবেশে এক বর্গমিটারে ৪ জন মানুষ দাঁড়ান। তবে আজকের সিচুয়েশনে বর্গমিটার প্রতি ৬ থেকে ৮ জন মানুষ ছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলের মতানুযায়ী, প্রতি বর্গমিটারে ন্যুনতম ৬ জন ধরলে ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার রাস্তায় মোট লোক সংখ্যা ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬০ জন হওয়ার কথা।
গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার যে দুটি মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই দুটি আকার যথাক্রমে ২৫,৭২৮ বর্গমিটার এবং ৬১,৯০৮ বর্গমিটার বা মোট ৮৭ হাজার ৬৩৬ বর্গমিটার। আর সব রাস্তা এবং দুটি মাঠ মিলে মোট ৪ লাখ ৫৯৬ বর্গমিটার এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতি বর্গমিটারে ৬ জন করে হিসাব করলে এই দুই মাঠে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৬ জন লোকের জায়গায় হওয়ার কথা। অর্থাৎ, দুই মাঠ এবং সব রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ বর্গমিটার এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে ৬ জন করে ধরলে ২৪ লাখ মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন। যদি প্রতি বর্গমিটারে ৪ জন করে হিসাব করা হয়, তাহলে মোট সংখ্যা অন্তত ১৬ লাখের মতো।
আর বর্গকিলোমিটার প্রতি ৮ জন করে হিসাব করলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ লাখ। এই আনুমানিক হিসাবে আশপাশের এলাকার ছাদে, গলি রাস্তা বা ওপরে উল্লিখিত রাস্তাগুলোর বাইরে অন্যান্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে যারা জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের হিসাব অন্তর্ভূক্ত নয়।
ফুট নোটে দ্য ডিসেন্ট বলেছে, এটি ওপেন সোর্স তথ্যের ভিত্তিতে একটি অনুমান। মোট জানাজায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে শোক জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিঠিটি তারেক রহমানকে হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হলেও নয়াদিল্লি যে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চায় না, তারই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিল ভারত। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অংশ নিতে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
বুধবার সকাল। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি পাড়া। এদিনের শীতের সকালটা যেন একটু বেশিই মলিন, কুয়াশাচ্ছন্ন। খুব কাছের কারো চলে যাওয়ার খবরে পাড়ার আকাশে-বাতাসে যেন প্রিয়জন হারানোর ব্যথা।
২ ঘণ্টা আগেবিদায়ী বছরের শেষ দিনে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদর আর হিমেল হাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে