leadT1ad

চবিতে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনে ওসমান হাদিকে স্মরণ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গ্রাফিতি। ছবি: সংগৃহীত

শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালন করেছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, রেলস্টেশন এলাকা, অগ্রণী ব্যাংক চত্বর ও বিভিন্ন আবাসিক হলসহ নানা দেয়ালে এসব গ্রাফিতি আঁকা হয়।

গ্রাফিতিগুলোতে লেখা হয়েছে ওসমান হাদির বিভিন্ন উক্তি ও প্রতিবাদী বাক্য। এর মধ্যে রয়েছে—‘জান দেব, জুলাই দেব না’, ‘আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই’, ‘দাসত্ব যে জমিনের নিশ্চল নিয়তি, লড়াই সেখানে সর্বোত্তম ইবাদত’, ‘গণহত্যাকারীর বিপক্ষে মজলুমের গালি হইলো মহাকাব্য’ এবং ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’।

গ্রাফিতিগুলোতে লেখা হয়েছে ওসমান হাদির বিভিন্ন উক্তি ও প্রতিবাদী বাক্য। ছবি: সংগৃহীত
গ্রাফিতিগুলোতে লেখা হয়েছে ওসমান হাদির বিভিন্ন উক্তি ও প্রতিবাদী বাক্য। ছবি: সংগৃহীত

গ্রাফিতি কর্মসূচি সম্পর্কে চবি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক রাফসান রাকিব বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির আন্দোলনকে জীবিত রাখা এবং হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি। গ্রাফিতিতে তাঁর কোটেশন লেখা হচ্ছে। কারণ তিনি কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন, তা ভুলে যাওয়ার নয়। বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চ রাজপথেই থাকবে।’

চবি ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সদস্যসচিব নাদিম মাহমুদ উল্লাস বলেন, ‘হাদি ভাইকে হত্যা করার সাত দিন পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকার বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। বরং ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আমাদের সাথে একপ্রকার ফাজলামো করা হয়েছে। জুলাইয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকারই জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুনিরা ভেবেছিল এক হাদিকে হত্যা করে আন্দোলনকে স্তিমিত করে দেবে। তাই হাদি ভাইয়ের আন্দোলনকে জীবিত রাখতেই ইনকিলাব মঞ্চ কেন্দ্রের নির্দেশনায় আমরা এই গ্রাফিতি কর্মসূচি পালন করছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত