leadT1ad

নিজের বিচার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চান ইনু, আদালতে আবেদন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৫
হাসানুল হক ইনু। সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ মোট আটটি অভিযোগের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিচার চলছে।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল সাক্ষ্যগ্রহণের ষষ্ঠ দিন। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রথাগত ধারার বাইরে গিয়ে আজ এক ভিন্নধর্মী আবেদন পেশ করা হয়েছে আসামিপক্ষ থেকে। নিজের বিচারকাজ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আর্জি জানিয়েছেন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী।

বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ইনুর পক্ষে এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি শুনানির পর এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

এদিন সকালেই কঠোর নিরাপত্তায় হাসানুল হক ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতেই চলে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। আজ পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্য দেন মামলার পঞ্চম ও জব্দতালিকার সাক্ষী কাশিমপুর কারাগার-২ এর সাবেক ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও ফারুক আহাম্মদ।

বিচারিক নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মামলায় ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স এবং বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর তানভীর হাসান জোহাকে এবং ১৫ ডিসেম্বর শাহেদ জোবায়ের লরেন্সকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

মামলার প্রথম সাক্ষী মো. রাইসুল হক তাঁর জবানবন্দিতে ইনুকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা ও উসকানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কুষ্টিয়া শহরের মেসে অবস্থানকালীন নিজের কপালে গুলি লাগার বর্ণনা দিয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছিলেন, ইনুর নির্দেশেই সেখানে নির্বিচার গুলি চালানো হয়, যাতে ছয়জন নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর ৩০ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ইনুর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে বিচারকাজ পুরোদমে শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় সংঘটিত সহিংসতায় শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত