স্ট্রিম প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাত উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছেন তাঁর বড় ভাই ওমর হাদি। তিনি বলেছেন, কান্না করতে রাজপথে নামি নাই। আমি শহীদের ভাই হতে চাই নাই। আমি বিপ্লবী ওসমান হাদির পাশে থেকে বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে চেয়েছি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের এই দোয়া মাহফিল হয়। এতে মোনাজাত করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মোনাজাতের আগে বক্তব্যে ওসমান হাদির ভাই বলেন, ‘আমাদের পরিবার অর্থ বা কোনো অনুদান চায় না। আমরা ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁর সেই অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করতে চাই। ইনসাফের বাংলাদেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত শান্ত হওয়া যাবে না। আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।’
উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি রাজি থাকেন আমার সঙ্গে ওয়াদা করেন– ইনসাফের বাংলাদেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত আপনারা শান্ত হবেন না।’ সবাই সমস্বরে ওয়াদা করেন।
ওমর হাদি বলেন, ওসমান হাদি শাহবাগে দাঁড়িয়ে বলতেন– ‘শাহবাগ হাজার বছরের মুসলমানদের কাছ থেকে এই বঙ্গভূমির স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে। আমি এই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদ রুখে দেব। এই শাহবাগে বসেই আমি নারায়ে তাকবির স্লোগান দেব’।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি হাদিকে ভালোবাসেন, হাদি হত্যার বিচার চান, শাহবাগকে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে অবশ্যই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।’
বক্তৃতার শুরুতে ওমর হাদি বলেন, প্রিয় বিপ্লবী জনতা। আমি এখানে ওসমান হাদির ভাই হিসেবে আসি নাই। আমি হাদির একজন সহযোদ্ধা ছিলাম। হাদি যখন গুলিবিদ্ধ হয়, একই রিকশায় বাম পাশে বসা ছিলাম। শহীদ ওসমান হাদি যখন জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বাসায় ফিরতে পারেনি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হতো- পরিবার ও নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হবে। তাঁর একটাই জবাব ছিল– ‘আমাকে আমার আল্লাহই রক্ষা করবে। আমি যদি চলে যাই, দেশের ১৮ কোটি জনতা আমার পরিবারে দেখে রাখবে। এর চেয়ে বড় নিরাপত্তা কেউ দিতে পারবে না। যদি আমি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাই, আপনি হবেন শহীদের ভাই। মাকে বলেছিল, মা আমি যদি চলে যাই, আপনি হবেন শহীদের মা’।
তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম বিপ্লবী ওসমান হাদির পাশে থেকে বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে। ইনসাফের বাংলাদেশ যতদিন না হবে, আমরা রাজপথ ছাড়ব না। ওসমান চলে গেছে। আল্লাহ তাঁকে সর্বোচ্চ পুরস্কার দিয়ে নিয়ে গেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে; পরে আরেক শুক্রবার রাতে ইন্তেকাল করেছে।’
ওমর হাদি বলেন, ‘আমাদের পরিবার, ইনকিলাব মঞ্চের ভাই-বোনেরা আমরা ঘটনার আকস্মিকতায় দুমড়েমুছড়ে গেছি। এখনো স্বাভাবিক হতে পারি নাই। জানি না আমরা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব কিনা? আমাদের শহীদ পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চ ওসমানের লাখো ভালোবাসার জনগণ, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা সবার কাছে আমার একটাই দাবি- ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁর সেই অসমাপ্ত বিপ্লব আপনারা সমাপ্ত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ওসমান হাদির আট মাস বয়সী ছেলের জন্য দোয়া করবেন। ওর স্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। বাবার মৃত্যুর পরে আমরা দুই ভাই অসহায় ছিলাম। বোন আমাদের বড় করেছে, পড়াশোনা শিখিয়েছে। সে খুব বেশি অসহায়, মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ আপনাদের ওসমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার তৌফিক দিন, আমীন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাত উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছেন তাঁর বড় ভাই ওমর হাদি। তিনি বলেছেন, কান্না করতে রাজপথে নামি নাই। আমি শহীদের ভাই হতে চাই নাই। আমি বিপ্লবী ওসমান হাদির পাশে থেকে বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে চেয়েছি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের এই দোয়া মাহফিল হয়। এতে মোনাজাত করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মোনাজাতের আগে বক্তব্যে ওসমান হাদির ভাই বলেন, ‘আমাদের পরিবার অর্থ বা কোনো অনুদান চায় না। আমরা ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁর সেই অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করতে চাই। ইনসাফের বাংলাদেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত শান্ত হওয়া যাবে না। আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।’
উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি রাজি থাকেন আমার সঙ্গে ওয়াদা করেন– ইনসাফের বাংলাদেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত আপনারা শান্ত হবেন না।’ সবাই সমস্বরে ওয়াদা করেন।
ওমর হাদি বলেন, ওসমান হাদি শাহবাগে দাঁড়িয়ে বলতেন– ‘শাহবাগ হাজার বছরের মুসলমানদের কাছ থেকে এই বঙ্গভূমির স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে। আমি এই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদ রুখে দেব। এই শাহবাগে বসেই আমি নারায়ে তাকবির স্লোগান দেব’।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি হাদিকে ভালোবাসেন, হাদি হত্যার বিচার চান, শাহবাগকে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে অবশ্যই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।’
বক্তৃতার শুরুতে ওমর হাদি বলেন, প্রিয় বিপ্লবী জনতা। আমি এখানে ওসমান হাদির ভাই হিসেবে আসি নাই। আমি হাদির একজন সহযোদ্ধা ছিলাম। হাদি যখন গুলিবিদ্ধ হয়, একই রিকশায় বাম পাশে বসা ছিলাম। শহীদ ওসমান হাদি যখন জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বাসায় ফিরতে পারেনি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হতো- পরিবার ও নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হবে। তাঁর একটাই জবাব ছিল– ‘আমাকে আমার আল্লাহই রক্ষা করবে। আমি যদি চলে যাই, দেশের ১৮ কোটি জনতা আমার পরিবারে দেখে রাখবে। এর চেয়ে বড় নিরাপত্তা কেউ দিতে পারবে না। যদি আমি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাই, আপনি হবেন শহীদের ভাই। মাকে বলেছিল, মা আমি যদি চলে যাই, আপনি হবেন শহীদের মা’।
তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম বিপ্লবী ওসমান হাদির পাশে থেকে বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে। ইনসাফের বাংলাদেশ যতদিন না হবে, আমরা রাজপথ ছাড়ব না। ওসমান চলে গেছে। আল্লাহ তাঁকে সর্বোচ্চ পুরস্কার দিয়ে নিয়ে গেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে; পরে আরেক শুক্রবার রাতে ইন্তেকাল করেছে।’
ওমর হাদি বলেন, ‘আমাদের পরিবার, ইনকিলাব মঞ্চের ভাই-বোনেরা আমরা ঘটনার আকস্মিকতায় দুমড়েমুছড়ে গেছি। এখনো স্বাভাবিক হতে পারি নাই। জানি না আমরা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব কিনা? আমাদের শহীদ পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চ ওসমানের লাখো ভালোবাসার জনগণ, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা সবার কাছে আমার একটাই দাবি- ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁর সেই অসমাপ্ত বিপ্লব আপনারা সমাপ্ত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ওসমান হাদির আট মাস বয়সী ছেলের জন্য দোয়া করবেন। ওর স্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। বাবার মৃত্যুর পরে আমরা দুই ভাই অসহায় ছিলাম। বোন আমাদের বড় করেছে, পড়াশোনা শিখিয়েছে। সে খুব বেশি অসহায়, মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ আপনাদের ওসমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার তৌফিক দিন, আমীন।’

‘মব সন্ত্রাস প্রতিহত করতে ছাত্রদল সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রসংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এসময় তিনি বলেন, ‘আজ ধর্মের নামে বিভেদ করা হচ্ছে, তারা ইসলামকে বিভক্ত করতে চায়। তারা সার্টিফিকেট দেয়—কারা ভালো মুসলিম, কারা ভালো মুসলিম না।’
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় দলটির মোট ১৩ জন নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। ‘ব্যক্তিগত কারণ’ ও ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’র কথা বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের এই গণ-পদত্যাগ এখন টক অব দ্য টাউন।
৯ ঘণ্টা আগে
মনোনয়ন কিনবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। স্থানীয় জনগণ চাইলে স্বতন্ত্র লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের চট্টগ্রামের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটির একাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে