leadT1ad

হাদি মুগ্ধ সাঈদরা জীবন দিয়ে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, শত্রুরা তা ধ্বংসে লিপ্ত: মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৪
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: পিআইবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা বাংলাদেশ চায়নি, বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছে; তারাই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। আজকে আবার যখন ওসমান হাদির মতো, মুগ্ধের মতো, আবু সাঈদের মতো ছেলেরা জীবন দিয়ে নতুন একটা সুযোগ-সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে; তখন আবার সেই শত্রুরা সেটাকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন রকম অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) উদ্যোগে ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’, ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ ও ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ নামে তিনটি গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আতিকুর রহমান রুমন (নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল ডিজিটাল), ড. মাহদী আমিন (উপদেষ্টা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) এবং সাংবাদিক এহসান মাহমুদসহ অনেকেই। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ড. মাহবুব উল্লাহ (শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ)।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) উদ্যোগে ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’, ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ ও ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ নামে তিনটি গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আলোচনা স
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) উদ্যোগে ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’, ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ ও ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ নামে তিনটি গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আলোচনা স

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সত্যিকার অর্থেই একজন ক্ষণজন্মা, দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। কাজ করার সময় থেকে তিনি যতটা সময় বেঁচে ছিলেন, তিনি পুরোটা সময় দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে গেছেন, মানুষের সেবা করার জন্যই। তারপরে বিদ্রোহ করেছেন... স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, সেটাও দেশের মানুষের জন্যই। পরবর্তীকালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পর যখন জনগণ তাঁকে সুযোগ দিয়েছে; ওই সুযোগটুকু তিনি কাজে লাগিয়েছেন তাঁর মানুষের জন্যই।

তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে সম্মান করতেন। তার চিন্তা, মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন।’

জিয়াউর রহমানকে হত্যার মতো করেই নতুন করে দেশকে ধ্বংসে অপকর্ম চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে। আমারা কেউ যেন কখনই অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করি। দেশের জন্য আমাদের অটুট সম্পর্ক রাখতে হবে।

সভাপ্রধান ইতিহাসবিদ, গবেষক, শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ এবং আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম যোদ্ধা ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছিল। জিয়াউর রহমানকে অসময়ে হারিয়ে আমরা জাতি হিসেবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নতির জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। জিয়াউর রহমান আন্তরিকভাবে মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্যে বিশ্বাস করতেন।’

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানো হয়েছিল। তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক। তিনি সেনাবাহিনী থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে গেছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মহানায়ক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সর্বোত্তম মঙ্গল কামনা করতেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছিলেন।’

বইগুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন বলেন, ‘মুজিবের বাকশালের সময় মাত্র চারটি সংবাদপত্র কাজ করতে পেরেছে। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে অনেক সংবাদপত্র কাজ করতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আমলে সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। নিরক্ষরতা থেকে মুক্তির জন্য তিনি নানা রকম ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আমরা সবাই মিলে আবারও একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’

এসময় দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে নানা রকম মব ভায়োলেন্স তৈরি হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষণজন্মা মানুষ। বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন। যখন আমাদের বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল; তখন তিনি সেটা করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সম্মুখ যোদ্ধা। আমি একজনের নাম নেব না, একজন নেতা ছিলেন সে সময় যার পিছনে রেডিও কর্মীরা ঘুরেছে একটি স্বাধীনতার ঘোষণা নেওয়ার জন্য। নির্বাচনে বহু ষড়যন্ত্র হবে, সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্র নায়কই নয়, শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালকই নয়, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্র নির্মাতা। পররাষ্ট্র নীতি, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের সকল নীতিকেই তিনি নির্মাণ করেছিলেন। যুদ্ধ পরবর্তী বাকশালের পরেই তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েই রাষ্ট্র নির্মাণ শুরু করেন।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত