leadT1ad

ভারতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ও গির্জায় হামলা বাড়ছে কেন

খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শকে দায়ী করা হচ্ছে। এই মতাদর্শ ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামকে তারা ‘বিদেশি’ ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের দাবি, এসব ধর্ম হিন্দু সমাজের জনসংখ্যাগত ভারসাম্য নষ্ট করছে।

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

ভারতজুড়ে বড়দিন ও এর আগে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের হামলা বাড়লেও নীরব মোদি সরকার। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক।

ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ খ্রিস্টান। সংখ্যায় তারা প্রায় মোট ৩ কোটি ২০ লাখ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বড়দিনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় এসব হামলা বেশি দেখা যাচ্ছে।

২০২৫ সালের ডিসেম্বরে বড়দিন উদ্‌যাপন ঘিরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কোথাও গির্জা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কোথাও উৎসবের আয়োজন ব্যাহত করা হয়। আবার কোথাও হামলা, ভয়ভীতি ও হুমকির ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনার পেছনে ধর্মান্তরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কাজ করেছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো এ ধরনের অভিযোগ ছড়িয়েছে। অনেক রাজ্যে কঠোর ধর্মান্তরবিরোধী আইন থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ২০২৫ সালে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইউনাইটেড ক্রিশ্চিয়ান ফোরাম (ইউসিএফ) জানায়, নভেম্বর পর্যন্ত তারা ৭০০টির বেশি ঘটনার তথ্য পেয়েছে।

ওপেন ডোরস জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নিপীড়নের ঘটনা ছিল ২ হাজার ৯০০টিরও বেশি। এর আগের বছর ২০২৪ সালে এমন ঘটনার সংখ্যা ছিল ৮৩৪। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের ঘটনার হার ক্রমাগত বাড়ছে।

ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া (সিবিসিআই)সহ সমালোচকদের মতে, এসব ঘটনা ভারতের সংবিধানে নিশ্চিত করা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। তারা মনে করেন, এতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুরও খ্রিস্টানদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা হুমকির মুখে বলে বড়দিনে হুঁশিয়ারি দেন শশী থারুরের।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খ্রিস্টানদের ওপর হামলা হচ্ছে। কেরালাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, যা সত্যিই হতবাক করার মতো।’ তিনি আরও বলেন, সংবিধানপ্রদত্ত উপাসনার স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের অধিকার আজ হুমকির মুখে।

সার্বিকভাবে দেখা গেছে, অনেক ঘটনায় দলবদ্ধ লোকজন গির্জায় ঢুকে পড়ে। তারা সাজসজ্জা ভাঙে। উপাসকদের ভয় দেখায়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ তোলা হয়। তবে ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোথাও কোথাও পুলিশও জানিয়েছে, অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বড়দিন ২০২৫: উল্লেখযোগ্য ঘটনা

বড়দিনকে ঘিরে হামলার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এসব হামলার সঙ্গে ডানপন্থী সংগঠন যেমন, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের নাম উঠে আসে।

ছত্তিশগড় প্রদেশের রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে ৮০ থেকে ৯০ জন ডানপন্থী কর্মী বড়দিনের সাজসজ্জা ভাঙচুর করে। তারা কর্মীদের হুমকিও দেয়। কাঁকের জেলায় ১৭ ডিসেম্বর একটি ধর্মান্তরিত পরিবারের দাফনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এর পর দুটি গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং খ্রিস্টানদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে বন্‌ধের ডাক দিয়ে পোস্টার লাগানো হয়।

মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে ২০ ডিসেম্বর একটি গির্জার প্রার্থনা সভায় হামলার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বিজেপির এক জেলা সহসভাপতি অন্ধ এক নারীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ধর্মান্তরের অভিযোগ তুলে তিনি হামলা চালান। অন্য একটি স্থানে আরেকটি দল প্রার্থনা সভা ভেঙে দেয় এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয়। কিছু ঘটনায় পুলিশ জানায়, জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কেরালায় ২১ ডিসেম্বর পালাক্কাড়ে বড়দিনের ক্যারল গাইছিল এমন শিশুদের একটি দলের ওপর হামলা হয়। হামলাকারী আরএসএস-সংশ্লিষ্ট বলে জানা যায়। তিনি বাদ্যযন্ত্র ভেঙে দেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ ঘটনার নিন্দা জানান। তবে বিজেপির কিছু নেতা হামলাকারীর পক্ষে কথা বলেন বা শিশুদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

আসামের নলবাড়ি জেলায় বজরং দলের কর্মীরা স্কুল ও দোকানের বড়দিনের সাজসজ্জা ভাঙচুর করে। মাজুলিতে এক বৈষ্ণব নেতা প্রকাশ্যে বড়দিন উদ্‌যাপন নিষিদ্ধ করেন। তিনি ধর্মান্তরের অভিযোগ তোলেন।

রাজস্থানের যোধপুরে স্কুলের বড়দিনের ব্যানার ভাঙচুর করা হয়। ডুঙ্গারপুরে আরএসএস ও বজরং দলের সদস্যরা সেন্ট জোসেফ ক্যাথলিক গির্জার রবিবারের প্রার্থনা ভেঙে দেয়। শ্রীগঙ্গানগরে শিক্ষা বিভাগ স্কুলগুলোকে শিশুদের সান্তা ক্লজ সাজতে ‘বাধ্য’ না করার নির্দেশ দেয়।

এ ছাড়া দিল্লির লাজপত নগর ও উত্তর প্রদেশে বড়দিনের সামগ্রী বিক্রেতাদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। হরিয়ানার হিসারে সম্ভাব্য সংঘর্ষ ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সার্বিকভাবে দেখা গেছে, অনেক ঘটনায় দলবদ্ধ লোকজন গির্জায় ঢুকে পড়ে। তারা সাজসজ্জা ভাঙে। উপাসকদের ভয় দেখায়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ তোলা হয়। তবে ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোথাও কোথাও পুলিশও জানিয়েছে, অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বহু ক্ষেত্রে পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নেয়। কখনো আবার উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার হলেও দোষীদের শাস্তি খুব কমই হয়। ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী দলগুলো সরকারের নীরবতার সমালোচনা করেছে।

সহিংসতার মূল কারণ

খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শকে দায়ী করা হচ্ছে। এই মতাদর্শ ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামকে তারা ‘বিদেশি’ ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের দাবি, এসব ধর্ম হিন্দু সমাজের জনসংখ্যাগত ভারসাম্য নষ্ট করছে। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত রয়েছে।

প্রথমত, জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ। হামলাকারীরা প্রায়ই অভিযোগ করে যে খ্রিস্টানরা দলিত ও আদিবাসীদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সাহায্য, শিক্ষা বা আর্থিক সহায়তার লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। এই অভিযোগকে সামনে রেখে তারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেয়। এর অংশ হিসেবে ‘ঘর ওয়াপসি’ নামে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার অভিযানও চালানো হয়।

দ্বিতীয়ত, ধর্মান্তরবিরোধী আইন। বর্তমানে অন্তত ১২টি রাজ্যে কঠোর ধর্মান্তরবিরোধী আইন চালু রয়েছে। এসব রাজ্যের বেশির ভাগই বিজেপিশাসিত। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব আইনে জোর, প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তর নিষিদ্ধ। তবে বাস্তবে এসব আইন অনেক সময় অপব্যবহার করা হয়। সাধারণ প্রার্থনা সভা বা দাতব্য কাজকেও ‘প্রলোভন’ হিসেবে দেখানো হয়। এতে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং জনতার হামলার সুযোগ তৈরি হয়। ২০২৫ সালে উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যে আইনে সংশোধন এনে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়। এতে চরমপন্থীরা আরও সাহস পায়।

তৃতীয়ত, রাজনৈতিক ও আদর্শিক মদদ। সমালোচকদের মতে, ২০১৪ সালের পর বিজেপির ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের সহিংসতা বেড়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) মতো সংগঠন হিন্দুদের বড়দিন উদ্‌যাপন না করার আহ্বান জানিয়ে একে ‘সাংস্কৃতিক হুমকি’ বলে প্রচার করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে বলছে, দেশে পরিকল্পিত ধর্মীয় নিপীড়ন নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে বিজেপির কিছু নেতার বিরুদ্ধে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অনেক ঘটনায় তদন্তই হয় না। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রায় ৯৩ শতাংশ ঘটনায় কোনো তদন্ত হয়নি।

চতুর্থত, দায়মুক্তি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়া। বহু ক্ষেত্রে পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নেয়। কখনো আবার উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার হলেও দোষীদের শাস্তি খুব কমই হয়। ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী দলগুলো সরকারের নীরবতার সমালোচনা করেছে।

২০২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বড়দিনকে ঘিরে সহিংসতা ধর্মীয় মেরুকরণকে আরও গভীর করেছে। সংখ্যালঘুরা যেন ভয় ছাড়া তাদের ধর্ম পালন করতে পারে, সে জন্য সংবিধানস্বীকৃত অধিকার কঠোরভাবে কার্যকর করার দাবি জোরালো হচ্ছে।

বিস্তৃত প্রেক্ষাপট ও দৃষ্টিভঙ্গি

ভারতের অনেক খ্রিস্টানই সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে আসা। ঐতিহাসিকভাবে মিশনারি কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পেয়ে তারা সামাজিক উন্নতির পথ খুঁজেছেন। কিন্তু এখন তারা সামাজিক বয়কট, কবর দেওয়ার অনুমতি না পাওয়া এবং সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো সমস্যার মুখে পড়ছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসসিআইআরএফসহ বিভিন্ন সংস্থা ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তারা ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করার সুপারিশও করেছে।

অন্যদিকে সরকার ও বিজেপি-সমর্থকেরা এসব অভিযোগকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন। তারা অনেক ঘটনাকে স্থানীয় বিরোধ বা ভুল বোঝাবুঝির ফল বলে ব্যাখ্যা দেন। ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথাও তারা তুলে ধরেন। কখনো কখনো প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাদের গির্জা সফরের মতো উদ্যোগের কথাও বলা হয়। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো তাদের কর্মকাণ্ডকে ‘ঔপনিবেশিক প্রভাব’ থেকে সংস্কৃতি রক্ষার চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করে।

খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দিচ্ছেন। তারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইন ও উগ্র জনতার তৎপরতা মিলিয়ে এক ধরনের ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে ভারতের বহুত্ববাদী গণতন্ত্র কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ছে।

২০২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বড়দিনকে ঘিরে সহিংসতা ধর্মীয় মেরুকরণকে আরও গভীর করেছে। সংখ্যালঘুরা যেন ভয় ছাড়া তাদের ধর্ম পালন করতে পারে, সে জন্য সংবিধানস্বীকৃত অধিকার কঠোরভাবে কার্যকর করার দাবি জোরালো হচ্ছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত