স্ট্রিম ডেস্ক

ডব্লিউডব্লিউই-এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় সুপারস্টার জন সিনা অবশেষে রেসলিং রিংকে বিদায় জানালেন। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে দর্শকদের মাতানো এই তারকাকে শেষবারের মতো রিংয়ে দেখা গেছে ‘স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্ট’–এ।
নিজের শেষ ম্যাচে জন সিনার প্রতিপক্ষ ছিলেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় রেসলার গুন্থার। ম্যাচে পরাজয় বরণ করতে হলেও বিদায়ের রাতে গ্যালারিভর্তি দর্শকের কাছে সিনাই ছিলেন প্রকৃত ‘চ্যাম্পিয়ন’। ম্যাচ শেষে রিং ছাড়ার সময় হাজারো দর্শক দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান তাঁদের প্রিয় রেসলারকে।
জন সিনার এই শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে রিংয়ে হাজির হয়েছিলেন রেসলিং জগতের অনেক বর্তমান ও সাবেক তারকা। পুরো আয়োজনটাই ছিল একজন কিংবদন্তির প্রতি সম্মিলিত ভালোবাসার প্রকাশ।
রেসলিং রিংয়ের বাইরেও তাঁর বিদায়কে সম্মান জানানো হয়েছে অভিনব কায়দায়। গুগল এই কিংবদন্তির জন্য বিশেষ ডুডল ও অ্যানিমেশন চালু করেছে। গুগলে ‘জন সিনা’ লিখে সার্চ করে অ্যানিমেশনে ক্লিক করলেই পুরো পেজটি মিলিয়ে যাচ্ছে। মূলত জন সিনার জনপ্রিয় সিগ্নেচার ক্যাচফ্রেজ ‘ইউ ক্যান্ট সি মি’-কেই এখানে প্রতীকীভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

জন সিনা অবশ্য হুট করেই এই ঘোষণা দেননি। এর আগে গত বছর তিনি জানান, ২০২৫ সালটা হবে রেসলিং-এ তাঁর শেষ বছর। তিনি চেয়েছিলেন শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতেই ক্যারিয়ারকে বিদায় নিতে।
তবে বিদায় মানেই সবকিছুর ইতি নয়। জন সিনা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ডব্লিউডব্লিউইর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। রেসলিং না করলেও দর্শক হয়ে পাশে থাকবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি আর রিংয়ে নামব না, কিন্তু গ্যালারিতে বসে উপভোগ করব।’
সবকিছুর মতো রেসলিং ক্যারিয়ারও একটা সময় শেষ হয়, এটা জন সিনা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডব্লিউডব্লিউই রিং মাতানোর পর তিনি ভেবেছেন, এবার থামা দরকার। ৪৮ বছর বয়সে আগের মতো ‘রেসলিং খেলা’ তাঁর জন্য আর সহজ নয়।
তবে শুধু শরীরের কথাই নয়। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্মের রেসলারদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত। জন সিনা ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভালোভাবে বিদায় নিতে চাই। যেন অন্যরা সুযোগ পায়। রেসলিংয়ের সঙ্গে এত বছরের সম্পর্কটা শুধু নিজের স্বার্থে ধরে রাখতে চাই না।’

আরেকটা কারণ অবশ্যই হলিউড। গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত সিনেমায় কাজ করছেন জন সিনা। বিশেষ করে কমেডি সিনেমায় তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দ্রুত। সামনে তাঁর নতুন সিনেমাও মুক্তি পাবে। অভিনয়ের এই নতুন অধ্যায়ে তিনি আরও মনোযোগ দিতে চান।
জন সিনার জনপ্রিয়তার কারণ খুঁজতে গেলে ফিরে তাকাতে হবে তাঁর সমগ্র ক্যারিয়ারের দিকে। সেখানে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন বিশাল এক ব্র্যান্ড। তাঁর নাম বা মুখ যেখানে থাকে সেখানে ভিড় জমে যায়। জন সিনার কারণে সিনেমার বাড়তি কাটতিও হয়।
আরেকটা বড় কারণ, রেসলিং রিংয়ে তাঁর কথা বলা। যখন তিনি মাইক্রোফোন হাতে নেন, তখন সবাই চুপ করে শোনেন। প্রতিপক্ষকে শুধু রিংয়ে নয়, কথা দিয়েও চাপে ফেলতে পারেন তিনি। র্যান্ডি ওরটন, আন্ডারটেকার, সিএম পাংক, দ্য রক এসব তারকার সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই এখনো ইউটিউবে জনপ্রিয়।
জন সিনাকে ‘বিগ ম্যাচ জন’ বলা হয়। কারণ, বড় ম্যাচ মানেই সিনার চমক। শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলে তিনি সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েন। কখনো ভক্তদের নিরাশ করেননি। তাই বড় ম্যাচের ভরসা হিসেবে তাঁর একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
পরিশ্রম আর ধৈর্যের দিক থেকেও জন সিনা অনন্য। জিমে সবার আগে জন সিনাকে দেখা যায়। আবার জিম থেকে বাড়ি ফেরেন সবার পর। চোট পেলে দীর্ঘদিন বিশ্রাম না নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসেন রিংয়ে। এই আত্মনিবেদনই তাঁকে করেছে আলাদা।
জন সিনা চ্যারিটির জন্যও বিখ্যাত। বিভিন্ন সময়ে অনেক রেসলিং তারকাকে জন সিনার মানবিকতার তারিফ করতেও দেখা গেছে। ‘মেক-আ-উইশ’-এর মাধ্যমে তিনি পাঁচ শর বেশি অসুস্থ শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন।

ডব্লিউডব্লিউই-এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় সুপারস্টার জন সিনা অবশেষে রেসলিং রিংকে বিদায় জানালেন। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে দর্শকদের মাতানো এই তারকাকে শেষবারের মতো রিংয়ে দেখা গেছে ‘স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্ট’–এ।
নিজের শেষ ম্যাচে জন সিনার প্রতিপক্ষ ছিলেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় রেসলার গুন্থার। ম্যাচে পরাজয় বরণ করতে হলেও বিদায়ের রাতে গ্যালারিভর্তি দর্শকের কাছে সিনাই ছিলেন প্রকৃত ‘চ্যাম্পিয়ন’। ম্যাচ শেষে রিং ছাড়ার সময় হাজারো দর্শক দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান তাঁদের প্রিয় রেসলারকে।
জন সিনার এই শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে রিংয়ে হাজির হয়েছিলেন রেসলিং জগতের অনেক বর্তমান ও সাবেক তারকা। পুরো আয়োজনটাই ছিল একজন কিংবদন্তির প্রতি সম্মিলিত ভালোবাসার প্রকাশ।
রেসলিং রিংয়ের বাইরেও তাঁর বিদায়কে সম্মান জানানো হয়েছে অভিনব কায়দায়। গুগল এই কিংবদন্তির জন্য বিশেষ ডুডল ও অ্যানিমেশন চালু করেছে। গুগলে ‘জন সিনা’ লিখে সার্চ করে অ্যানিমেশনে ক্লিক করলেই পুরো পেজটি মিলিয়ে যাচ্ছে। মূলত জন সিনার জনপ্রিয় সিগ্নেচার ক্যাচফ্রেজ ‘ইউ ক্যান্ট সি মি’-কেই এখানে প্রতীকীভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

জন সিনা অবশ্য হুট করেই এই ঘোষণা দেননি। এর আগে গত বছর তিনি জানান, ২০২৫ সালটা হবে রেসলিং-এ তাঁর শেষ বছর। তিনি চেয়েছিলেন শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতেই ক্যারিয়ারকে বিদায় নিতে।
তবে বিদায় মানেই সবকিছুর ইতি নয়। জন সিনা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ডব্লিউডব্লিউইর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। রেসলিং না করলেও দর্শক হয়ে পাশে থাকবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি আর রিংয়ে নামব না, কিন্তু গ্যালারিতে বসে উপভোগ করব।’
সবকিছুর মতো রেসলিং ক্যারিয়ারও একটা সময় শেষ হয়, এটা জন সিনা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডব্লিউডব্লিউই রিং মাতানোর পর তিনি ভেবেছেন, এবার থামা দরকার। ৪৮ বছর বয়সে আগের মতো ‘রেসলিং খেলা’ তাঁর জন্য আর সহজ নয়।
তবে শুধু শরীরের কথাই নয়। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্মের রেসলারদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত। জন সিনা ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভালোভাবে বিদায় নিতে চাই। যেন অন্যরা সুযোগ পায়। রেসলিংয়ের সঙ্গে এত বছরের সম্পর্কটা শুধু নিজের স্বার্থে ধরে রাখতে চাই না।’

আরেকটা কারণ অবশ্যই হলিউড। গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত সিনেমায় কাজ করছেন জন সিনা। বিশেষ করে কমেডি সিনেমায় তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দ্রুত। সামনে তাঁর নতুন সিনেমাও মুক্তি পাবে। অভিনয়ের এই নতুন অধ্যায়ে তিনি আরও মনোযোগ দিতে চান।
জন সিনার জনপ্রিয়তার কারণ খুঁজতে গেলে ফিরে তাকাতে হবে তাঁর সমগ্র ক্যারিয়ারের দিকে। সেখানে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন বিশাল এক ব্র্যান্ড। তাঁর নাম বা মুখ যেখানে থাকে সেখানে ভিড় জমে যায়। জন সিনার কারণে সিনেমার বাড়তি কাটতিও হয়।
আরেকটা বড় কারণ, রেসলিং রিংয়ে তাঁর কথা বলা। যখন তিনি মাইক্রোফোন হাতে নেন, তখন সবাই চুপ করে শোনেন। প্রতিপক্ষকে শুধু রিংয়ে নয়, কথা দিয়েও চাপে ফেলতে পারেন তিনি। র্যান্ডি ওরটন, আন্ডারটেকার, সিএম পাংক, দ্য রক এসব তারকার সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই এখনো ইউটিউবে জনপ্রিয়।
জন সিনাকে ‘বিগ ম্যাচ জন’ বলা হয়। কারণ, বড় ম্যাচ মানেই সিনার চমক। শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলে তিনি সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েন। কখনো ভক্তদের নিরাশ করেননি। তাই বড় ম্যাচের ভরসা হিসেবে তাঁর একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
পরিশ্রম আর ধৈর্যের দিক থেকেও জন সিনা অনন্য। জিমে সবার আগে জন সিনাকে দেখা যায়। আবার জিম থেকে বাড়ি ফেরেন সবার পর। চোট পেলে দীর্ঘদিন বিশ্রাম না নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসেন রিংয়ে। এই আত্মনিবেদনই তাঁকে করেছে আলাদা।
জন সিনা চ্যারিটির জন্যও বিখ্যাত। বিভিন্ন সময়ে অনেক রেসলিং তারকাকে জন সিনার মানবিকতার তারিফ করতেও দেখা গেছে। ‘মেক-আ-উইশ’-এর মাধ্যমে তিনি পাঁচ শর বেশি অসুস্থ শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন।

ক্ষুধা কিভাবে মানুষের অস্তিত্বকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেয়, সেলুলয়েডের ফিতায় তার সবচেয়ে নির্মম দলিল আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমজাদ হোসেনের কালজয়ী সিনেমা ‘ভাত দে’ তৎকালীন সমাজব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি এক চপেটাঘাত।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ দশ বছর হতে চললো জহির নেই। দীর্ঘ দশটি বছর, অথচ মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। এ. জে. করদারের সহকারী হিশেবে কাজ করছে জহির রায়হান। প্রথমে পরিচয়। তারপর ঘনিষ্ঠতা। পঞ্চাশের শেষের দিকেই হবে সম্ভবত। জহির তুমুল উৎসাহে স্ক্রিপ্ট করছে, ‘‘কখনো আসেনি’’-র স্ক্রিপ্ট। ছবি হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
তাঁর লেখা প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতার ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় ১৯৪৯ সালে। পরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘সচিত্র সন্ধানী’ পত্রিকায় ১৯৮২ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় কবিতাটি পুনর্মুদ্রিত হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
‘ঠক ঠক, ঠক ঠক! স্যার একটু বাইরে আসবেন?’—এই কথাটি কানে এলেই আমাদের মনে পড়ে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরের কথা। বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি দুঃখজনক অধ্যায়। এই দিনেই আলবদর বাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে হত্যা করেছিল। কারণ, তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে।
১ দিন আগে