leadT1ad

গোপালগঞ্জসহ সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, হাড়কাঁপানো শীতে বছর শেষ

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৯
তীব্র শীতে মালামাল নিয়ে রিকশাচালকের সঙ্গে জবুথবু হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: আশরাফুল আলম

বিদায়ী বছরের শেষ দিনে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদর আর হিমেল হাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ সাতটি জেলা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতে এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস ও তাপমাত্রার উপাত্ত বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে, ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সাত জেলা এবং দুই বিভাগের জেলাগুলো এই শৈত্যপ্রবাহের আওতাভুক্ত। এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামীকাল বছরের প্রথম দিনে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত এই কুয়াশা স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি তীব্র থাকবে।

কোথায় কত তাপমাত্রা
গোপালগঞ্জ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অন্য এলাকাগুলোর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৮, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৪, ভোলায় ৮ দশমিক ৫, বরিশালে ৯ দশমিক ১ এবং ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুরের তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও উত্তরাঞ্চলেও শীতের দাপট রয়েছে।

ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। ঢাকায় আজ পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

পরবর্তী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। অর্থাৎ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীতের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত