
.png)

পিঠা উৎসব হলো শীতকালে বাঙালি সংস্কৃতির এক ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। যেখানে গুড়, নারিকেল, চালের গুঁড়া ও দুধের সুগন্ধে মুখরিত থাকে পরিবেশে। পিঠাকে শুধুমাত্র খাবার বললে ভুল হবে। হাজার বছর ধরে এটি আমাদের লোকজ সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে।

সারা দেশের কোথাও কোথাও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আজ শুক্রবার মৌসুমি পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শীত এসে গেছে। তুলনামূলক আরামদায়ক হলেও ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়ার আশঙ্কা এ সময়ে অনেক বেশি। কিন্তু এমন কেন হয়, প্রতিকারই-বা কী? পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. ফারুক আহাম্মদ।

শীত এলেই অনেকের মুড যেন একটু থমকে যায়। অকারণে মন খারাপ বা ক্লান্তি ঘিরে ধরে। প্রশ্ন জাগে, শীতকাল কি সত্যিই আমাদের মুড অফ করে দেয়? নাকি এর পেছনে আছে শরীরের কোনো প্রতিক্রিয়া? শীতে আমাদের বিষণ্নতার কারণ খুঁজে দেখা যাক।

ভোজনরসিক বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে পিঠার প্রচলন বহু পুরোনো। বিভিন্ন মুখরোচক আর বাহারি স্বাদের পিঠার প্রচলন ছিল আদিকাল থেকেই। এর সন্ধান পাওয়া যায় ১০০ বছরের পুরোনো রেসিপি বইতেও। এমন তিনটি বাহারি পিঠার রেসিপি ‘মিষ্টান্ন-পাক’ বই থেকে তুলে ধরা হলো স্ট্রিমের পাঠকদের জন্য।

শীতের আগমনী হাওয়া শুরু হতেই লক্ষ্মীপুরে বাড়তে থাকে পিঠার কদর। প্রাচীন এই পিঠা সংস্কৃতি আজও লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে টিকে আছে। শীত মানেই পিঠার আমেজ, উষ্ণ স্বাদ আর মিলনমেলার আনন্দ।

আমাদের দেশে বছরজুড়েই নানা উপলক্ষে পিঠা বানানো হয়। তবে শীতকালে পিঠার বৈচিত্র্য চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি। কারণটা লুকিয়ে আছে ঐতিহ্যের ভেতর। শীতের ঠিক আগে আগেই শুরু হয় হেমন্তের নবান্ন উৎসব। কৃষকের গোলাঘর ভরে ওঠে সোনালী ধানে। সেই আমন ধান থেকে আসে নতুন চাল।

ক্যালেন্ডারে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। শীতের মৌসুম এসেই গেছে বলা যায়। সন্ধ্যা নামলেই বাতাসে টের পাওয়া যায় শীতের খুব হালকা ছোঁয়া। ঢাকাবাসীর গায়ে যদিও এখনো গরম কাপড় ওঠেনি, কিন্তু ফুটপাতে বসে গেছে শীতের পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাওয়া থেকে উঠছে গরম ধোঁয়া, ভাপা পিঠার গন্ধে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা। শীত ঠিকঠাক

শীতের সকাল মানেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো হলগুলোতে আয়েশি ঘুমভাঙা। জানালার কাঁচ চুইয়ে আসা ফ্যাকাশে রোদটুকু শরীরে মেখে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকার মধ্যে সে এক অপার আনন্দ। কিন্তু শীতের এই সকালেবলা আমার মতো গ্রামের আবহে বেড়ে ওঠা ছেলেদের জন্য অন্য এক স্মৃতির দরজাও খুলে দেয়—পিঠার স্মৃতি। ক্যাম্পা

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দ্রুত কমতে শুরু করেছ তাপমাত্রা। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্যও কমে আসছে। আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশের আবহাওয়ায় শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন হবে না। সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে।

সারা দেশে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা কমার এই প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও (২২ নভেম্বর) থাকতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

ভোরের প্রকৃতিতে হালকা কুয়াশা। সারি সারি খেজুর গাছের ডালের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ভোরের সূর্যের আলো। একটার পর একটা গাছ থেকে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের গাছি মো. ওবায়দুল।

৩ নভেম্বর ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। ভোরের আলো ফুটলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম। শীতের এমন আগমনী ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ।

রাজশাহীতে নেমে এসেছে এ বছরের প্রথম কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।