leadT1ad

ধানের শীষে ভোট করছেন বিএনপির মিত্র দলের ছয় নেতা

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৮
বিএনপির লোগো

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করলেও ছয়টি দলের প্রার্থীরা নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এর বাইরে চার নেতা দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ায়, তাদের ছয়জন লড়বেন ধানের শীষ নিয়ে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে বিপাকে পড়েছে ছোট দলগুলো। এতে জোটবদ্ধ করলেও, নির্বাচন নিজ প্রতীকে করার বিধান যুক্ত করেছে। মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া আসনে বিজয় নিশ্চিত করতেই প্রার্থীদের ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে উৎসাহিত করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

দল ছেড়ে বিএনপিতে যারা

নির্বাচনে প্রার্থিতা নিশ্চিত এবং ভোটের মাঠে সুবিধা করতে নিজ দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন চারটি দলের প্রধান ও দুটি দলের মহাসচিব। বাংলাদেশ এলডিপির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বিএনপিতে যোগ দেওয়ায়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। একইভাবে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা সৈয়দ এহসানুল হুদা ধানের শীষ নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

নিবন্ধন না থাকা আরেক দল এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বিএনপির প্রতীকে নড়াইল-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ এবং নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দুটি দলই নিবন্ধিত। এলডিপির সাবেক মহাসচিব রেদোয়ান কুমিল্লা-৭ আসনে এবং গণঅধিকারের রাশেদ খাঁন ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন।

দলগুলোর সূত্র বলছে, মিত্র দলের নেতাদের কারও কারও আশঙ্কা, পরিচিতির অভাবে নিজস্ব প্রতীকে ভোট করলে প্রতিপক্ষ সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে ভোটাররা পরিচিত। এ কারণে তারা ধানের শীষকে নিরাপদ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিএনপির হাইকমান্ডও বাস্তবতা মাথায় রেখে মিত্রদের ধানের শীষে ভোট করতে উৎসাহিত করছে।

নিজ প্রতীকে লড়বেন যারা

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করলেও ছয়টি দল– নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ এবং বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির সমর্থনে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা ছিল। তবে এখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী হওয়ায়, পার্থ ভোলা-১ আসনে দলের প্রতীক গরুর গাড়ি নিয়ে নির্বাচন করবেন।

পার্থ বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনের বেস্ট প্রার্থী তারেক রহমান। আমি তাঁর সম্মানে এখানে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করিনি। ভোলা-১ আসন থেকে নিয়েছি।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না নিজ দলের কেটলী প্রতীকে বগুড়া-২ আসনে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক কোদাল নিয়ে ঢাকা-১২ আসনে ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে তাঁর দলের মাথাল প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

সাইফুল হক স্ট্রিমকে বলেন, আগের প্রার্থী সাইফুল আলম নীরবসহ সংশ্লিষ্ট আসনে বিএনপির প্রায় ১৪ আনা নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। নির্বাচনে তারা কোদাল প্রতীকের প্রতি আস্থা রাখবেন বলে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। এই অংশের নিবন্ধন থাকায় তারা নিজ প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী খেজুর গাছ নিয়ে লড়বেন। তবে দলটির নিবন্ধনবিহীন অংশের নেতা মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে নির্বাচন করবেন ধানের শীষ নিয়ে।

উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল। তিন টার্মের অভিজ্ঞতায় আমরা তাদের ওপর আস্থা রেখেছি। দেশ ও জনগণের কল্যাণ বিবেচনায় অন্যদের চেয়ে বিএনপি ভালো।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত