leadT1ad

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার

জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। সংগৃহীত ছবি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হওয়া ও ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার না করার অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী-১ (দুমকি, পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে যোগাযোগ করা হলে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না বলে স্ট্রিমকে জানিয়েছেন। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান।

মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার প্রসঙ্গে রুহুল আমিন হাওলাদার স্ট্রিমকে বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে, আমাদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলো তুলে নেবে। তাহলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। কিন্তু নির্বাচনের একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতীয়মান হয়নি। অংশগ্রহণ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ অনুপস্থিত। আচরণবিধি সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না।’

রুহুল আমিন বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেষ জীবনে একটা গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল, স্বাধীন দেশে সবাই সমান অধিকার পাবে, কিন্তু সেটা অনুপস্থিত।’

এর আগে ১০টি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, এবারের নির্বাচন সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সব দল নির্বাচনে না এলে সরকার টেকসই হয় না। যার সর্বশেষ উদাহরণ আওয়ামী লীগ সরকার। সেখান থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত। একটি টেকসই সরকার গঠনের জন্য সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘চর দখলের মতো নির্বাচন হলে দেশটাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। এজন্য এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’

এর আগে জাতীয় পার্টির একাংশ ও জেপির নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা নির্বাচনী জোট এনডিএফ থেকে পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন পান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত