
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আজ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের পথে। প্রযুক্তির ঝড়ো স্রোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই হয়ে উঠেছে পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। সংসদে ২০২৪ সালে পাস হওয়া পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন ব্যাংকিং খাতকে নতুন কাঠামোয় বেঁধে দিয়েছে।

বাংলাদেশের সরকারি ঋণ ২০২৫ সালে ২১ ট্রিলিয়ন টাকার সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকেই শুধু একটি সংখ্যা হিসেবে দেখছেন। কিন্তু অর্থনীতির ভেতর থেকে বিষয়টি দেখলে বোঝা যায় এটি আমাদের আর্থিক বাস্তবতার একটি স্পষ্ট বার্তা। রাজস্ব সংগ্রহ যেমন বাড়েনি, উন্নয়ন ব্যয় তেমনই ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়েছে।

আমার দৃষ্টিতে সংকটের সময়ে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো মানুষের মনকে স্থির করা। সংবাদ কেবল তথ্য নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। যখন অর্থনীতি চাপের মুখে, তখন শিরোনামের একটি ভুল শব্দই বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন পে-স্কেল কেবল একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি অর্থনৈতিক ন্যায্যতা ও আর্থিক শৃঙ্খলার যৌথ পরীক্ষা।

চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বরে সরকারের বাজেট সংশোধনের ঘোষণা গভীর অর্থনৈতিক সংকট নির্দেশ করে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, রাজস্ব ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এই পদক্ষেপ কি অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা, নাকি আসন্ন নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনৈতিক কৌশল—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কাগজ-কলমে দেশের অর্থনীতিকে যতই ঊর্ধ্বগতির দেখানো হোক, বাজারে গিয়ে তার আলাদা চেহারাটাই দেখা যায়। বাজারে ঢুকলেই বোঝা যায়, কীভাবে টাকার দুর্বলতা নীরবে মানুষের দৈনন্দিনকে বদলে দেয়।