ট্রেলার ভাইরাল, পোস্টার ঝলমলে আর নামী তারকার সারি। ছিল হাই বাজেট, বড় স্টুডিও আর ‘বছরের সেরা’ হওয়ার আত্মবিশ্বাসও। কিন্তু পর্দায় আলো জ্বলার পর বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ২০২৫ সালে হলিউডে কিছু সিনেমা আক্ষরিক অর্থেই হাইপের পাহাড় গড়ে তুলেছিল, কিন্তু বক্স অফিসে গিয়ে সেগুলো দাঁড়াতে পারেনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালের এমনই ৭টি আলোচিত সিনেমার গল্প।
স্ট্রিম ডেস্ক

২০২৫ সালে হলিউডে ব্যবসাসফল সিনেমার অভাব ছিল না। সুপারহিরো থেকে অ্যানিমেশন—সব ঘরানাতেই কিছু না কিছু ছবি দর্শক টানতে পেরেছে। তবু একই সময়ে মুক্তি পাওয়া অনেক আলোচিত সিনেমা বক্স অফিসে ভয়াবহভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বড় বাজেট, নামী তারকা, আলোচিত পরিচালক, কিছুই শেষ পর্যন্ত দর্শককে হলে টানতে পারেনি।
বিশেষ করে রিমেক আর বায়োপিক কয়েকটি ছবি প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেনি। কোথাও গল্পের দুর্বলতা, কোথাও অতিরিক্ত বাজেট, আবার কোথাও দর্শকের রুচি বদলে যাওয়ার বাস্তবতা বক্স অফিসের অঙ্ককে উল্টে দিয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়া কয়েকটি সিনেমার নাম ও বিস্তারিত।
ডিজনির এই লাইভ-অ্যাকশন রিমেকটি শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। র্যাচেল জ্যাঙ্গলারের কাস্টিং এবং বামন চরিত্রগুলো সিজিআই ব্যবহার করে তৈরি করা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল শুরু থেকেই। এটা বক্স অফিসেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি খরচ তুলে আনতেই হিমশিম খেয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ক্লাসিক গল্পের ‘আধুনিকায়ন’ করতে গিয়ে ডিজনির মূল জাদুটাই হারিয়ে গেছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর ‘ট্রন’-এর প্রত্যাবর্তন ঘটলেও তা দর্শকদের হলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। জ্যারেড লেটো অভিনীত ২২০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সায়েন্স ফিকশন সিনেমাটি এর ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের জন্য প্রশংসিত হলেও, দুর্বল গল্পের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে। ডিজনি আশা করেছিল এটি নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হবে, কিন্তু ফলাফল হয়েছে উল্টো।
পিক্সারের জন্য ২০২৫ সালটি মোটেও সুখকর ছিল না। মহাকাশ অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে নির্মিত অ্যানিমেশন ‘এলিও’ বক্স অফিসে বড় ধরনের ব্যর্থতার মুখে পড়ে। প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে রীতিমতো ব্যর্থ হয়েছে।

‘ইনসাইড আউট ২’-এর সাফল্যের পর পিক্সারের কাছ থেকে এমন ব্যর্থতা আশা করেনি কেউ।
রবার্ট ডি নিরো এই সিনেমায় ‘ডাবল রোল’ প্লে করেছেন। সিনেমার পরিচালনায় ছিলেন ব্যারি লেভিনসনের পরিচালনা; তবুও গ্যাংস্টার ঘরানার এই সিনেমাটি বক্স অফিসে পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই প্রজেক্টটি জেনারেশন জেড বা তরুণ দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। পুরোনো ধাঁচের গল্প বলার ভঙ্গি এবং ধীর গতির কারণে সিনেমটি মুক্তির সপ্তাহেই দর্শক হারায়।
প্যারাসাইট খ্যাত অস্কারজয়ী পরিচালক বং জুন-হো এবং রবার্ট প্যাটিনসনের জুটিকে নিয়ে দর্শকের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা থাকলেও এবছরের ফ্লপ সিনেমার তালিকায় ‘মিকি ১৭’ নামটিও আসবে।
বারবার মুক্তির তারিখ পেছানো এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রচারণায় অনীহাই সিনেমাটির কাল হয়েছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। জটিল সায়েন্স ফিকশন প্লট এবং ডার্ক হিউমার সাধারণ দর্শকদের ঠিকমতো বোঝাতে না পারায় এটি বছরের সেরা ফ্লপ সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়।
মার্গট রবি এবং কলিন ফ্যারেল অভিনীত এই ফ্যান্টাসি রোমান্স সিনেমাটি ছিল সনি পিকচার্সের এক বড় এক্সপেরিমেন্ট। কিন্তু যত ভালো কাস্টিংই হোক না কেন, দর্শক যদি সিনেমার সাথে কানেক্ট করতে না পারে, সেই সিনেমা মানুষকে হলমুখী করবে না, সেটাই স্বাভাবিক।

অদ্ভুতুড়ে প্লট এবং দর্শকদের সঙ্গে ঠিকঠাক সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে সিনেমাটি। যার ফলে এ বছরের অন্যতম বড় ফ্লপ সিনেমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে এটি।
‘বার্বি’র পর মার্গট রবির এই ব্যর্থতা হলিউডে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জুলিয়া রবার্টস অভিনীত আর নির্মাতা লুকা গুয়াদানিনোর পরিচালনায় তৈরি ‘আফটার দ্য হান্ট’ বড় হিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১০ মিলিয়ন ডলারেরও কম (প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)। যেটা নাকি শুধু জুলিয়া রবার্টসের পারিশ্রমিকের অর্ধেক, আর মোট বাজেটের মাত্র এক–অষ্টমাংশ।
এর পেছনে কারণ হিসেবে গুয়াদানিনোর কিছুটা দীর্ঘসূত্রিতাপূর্ণ নির্মাণশৈলীকেই দায়ী করা যায়। তবে সমস্যা শুধু সিনেমাটি ভালো না হওয়া নয়। সমস্যা হলো, এটি নির্দিষ্ট কিছু দিক থেকে ঠিকঠাক কাজ করেনি।

২০২৫ সালে হলিউডে ব্যবসাসফল সিনেমার অভাব ছিল না। সুপারহিরো থেকে অ্যানিমেশন—সব ঘরানাতেই কিছু না কিছু ছবি দর্শক টানতে পেরেছে। তবু একই সময়ে মুক্তি পাওয়া অনেক আলোচিত সিনেমা বক্স অফিসে ভয়াবহভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বড় বাজেট, নামী তারকা, আলোচিত পরিচালক, কিছুই শেষ পর্যন্ত দর্শককে হলে টানতে পারেনি।
বিশেষ করে রিমেক আর বায়োপিক কয়েকটি ছবি প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেনি। কোথাও গল্পের দুর্বলতা, কোথাও অতিরিক্ত বাজেট, আবার কোথাও দর্শকের রুচি বদলে যাওয়ার বাস্তবতা বক্স অফিসের অঙ্ককে উল্টে দিয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়া কয়েকটি সিনেমার নাম ও বিস্তারিত।
ডিজনির এই লাইভ-অ্যাকশন রিমেকটি শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। র্যাচেল জ্যাঙ্গলারের কাস্টিং এবং বামন চরিত্রগুলো সিজিআই ব্যবহার করে তৈরি করা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল শুরু থেকেই। এটা বক্স অফিসেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি খরচ তুলে আনতেই হিমশিম খেয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ক্লাসিক গল্পের ‘আধুনিকায়ন’ করতে গিয়ে ডিজনির মূল জাদুটাই হারিয়ে গেছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর ‘ট্রন’-এর প্রত্যাবর্তন ঘটলেও তা দর্শকদের হলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। জ্যারেড লেটো অভিনীত ২২০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সায়েন্স ফিকশন সিনেমাটি এর ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের জন্য প্রশংসিত হলেও, দুর্বল গল্পের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে। ডিজনি আশা করেছিল এটি নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হবে, কিন্তু ফলাফল হয়েছে উল্টো।
পিক্সারের জন্য ২০২৫ সালটি মোটেও সুখকর ছিল না। মহাকাশ অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে নির্মিত অ্যানিমেশন ‘এলিও’ বক্স অফিসে বড় ধরনের ব্যর্থতার মুখে পড়ে। প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে রীতিমতো ব্যর্থ হয়েছে।

‘ইনসাইড আউট ২’-এর সাফল্যের পর পিক্সারের কাছ থেকে এমন ব্যর্থতা আশা করেনি কেউ।
রবার্ট ডি নিরো এই সিনেমায় ‘ডাবল রোল’ প্লে করেছেন। সিনেমার পরিচালনায় ছিলেন ব্যারি লেভিনসনের পরিচালনা; তবুও গ্যাংস্টার ঘরানার এই সিনেমাটি বক্স অফিসে পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই প্রজেক্টটি জেনারেশন জেড বা তরুণ দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। পুরোনো ধাঁচের গল্প বলার ভঙ্গি এবং ধীর গতির কারণে সিনেমটি মুক্তির সপ্তাহেই দর্শক হারায়।
প্যারাসাইট খ্যাত অস্কারজয়ী পরিচালক বং জুন-হো এবং রবার্ট প্যাটিনসনের জুটিকে নিয়ে দর্শকের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা থাকলেও এবছরের ফ্লপ সিনেমার তালিকায় ‘মিকি ১৭’ নামটিও আসবে।
বারবার মুক্তির তারিখ পেছানো এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রচারণায় অনীহাই সিনেমাটির কাল হয়েছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। জটিল সায়েন্স ফিকশন প্লট এবং ডার্ক হিউমার সাধারণ দর্শকদের ঠিকমতো বোঝাতে না পারায় এটি বছরের সেরা ফ্লপ সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়।
মার্গট রবি এবং কলিন ফ্যারেল অভিনীত এই ফ্যান্টাসি রোমান্স সিনেমাটি ছিল সনি পিকচার্সের এক বড় এক্সপেরিমেন্ট। কিন্তু যত ভালো কাস্টিংই হোক না কেন, দর্শক যদি সিনেমার সাথে কানেক্ট করতে না পারে, সেই সিনেমা মানুষকে হলমুখী করবে না, সেটাই স্বাভাবিক।

অদ্ভুতুড়ে প্লট এবং দর্শকদের সঙ্গে ঠিকঠাক সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে সিনেমাটি। যার ফলে এ বছরের অন্যতম বড় ফ্লপ সিনেমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে এটি।
‘বার্বি’র পর মার্গট রবির এই ব্যর্থতা হলিউডে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জুলিয়া রবার্টস অভিনীত আর নির্মাতা লুকা গুয়াদানিনোর পরিচালনায় তৈরি ‘আফটার দ্য হান্ট’ বড় হিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১০ মিলিয়ন ডলারেরও কম (প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)। যেটা নাকি শুধু জুলিয়া রবার্টসের পারিশ্রমিকের অর্ধেক, আর মোট বাজেটের মাত্র এক–অষ্টমাংশ।
এর পেছনে কারণ হিসেবে গুয়াদানিনোর কিছুটা দীর্ঘসূত্রিতাপূর্ণ নির্মাণশৈলীকেই দায়ী করা যায়। তবে সমস্যা শুধু সিনেমাটি ভালো না হওয়া নয়। সমস্যা হলো, এটি নির্দিষ্ট কিছু দিক থেকে ঠিকঠাক কাজ করেনি।

বাংলার ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়ের নাম মসলিন। একসময় বিশ্বজুড়ে ঢাকাই মসলিনের ছিল একচেটিয়া কদর। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, বিশেষ করে ১৮৫১ সালের লন্ডনের গ্রেট এক্সিবিশনে ঢাকাই মসলিন প্রদর্শিত হয়েছিল।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের নিজস্ব চিন্তাশক্তি বা ‘ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং’-এর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের প্রভাব অনেক বেশি। যেমন—প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির হাল ধরেন তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পর দলের হাল ধরেছেন পুত্র তারেক রহমান।
১ দিন আগে
আজ বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খানের ৬০তম জন্মদিন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় রোমান্স আর অ্যাকশনের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন এই তারকা।
১ দিন আগে