স্ট্রিম প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরবেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইটটির রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর সঙ্গে থাকছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। আরও থাকছে তাঁর আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’।
সব ঠিক থাকলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ঢাকায় অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করবে। ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও প্রটোকলে তিনি পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। মঞ্চে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের যুগপৎ সঙ্গী শরিক দলের শীর্ষ নেতারাও থাকবেন। তবে মঞ্চে শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখবেন।
৩০০ ফিটে সংবর্ধনা মঞ্চ ঘিরে প্রস্তুতি
দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে বরণ করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। রাজধানীর কুড়িল মোড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে ‘জুলাই-৩৬’ সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চ থেকে প্রায় ১৮ বছর পর সশরীরে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঞ্চে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর লেখা রয়েছে—‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মঞ্চে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব বিশেষ নিরাপত্তা দলের (সিকিউরিটি টিম) সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
মঞ্চ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লাগানো হয়েছে কয়েক শ মাইক। বিভিন্ন নেতার উদ্যোগে তারেক রহমানকে স্বাগত বার্তা সংবলিত নানা আকারের ব্যানার টাঙানো হয়েছে এয়ারপোর্ট সড়ক থেকে শুরু করে পুরো মঞ্চ এলাকায়। ৩০০ ফিট সড়কের গাছ যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য গাছে গাছে ঝোলানো হয়েছে গাছ রক্ষাবিষয়ক নানা বার্তা।
কর্মীরা স্লোগানে মুখরিত রেখেছেন মঞ্চের আশপাশ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তাঁদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ অভিনব উপায়ে ধানের শীষ দিয়ে তৈরি পোশাক পরে অন্যদের উজ্জীবিত করছেন। কাউকে মাথায় ধানের শীষের মাথাল পরে গানের তালে তালে নাচতে দেখা গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতে শোভা পাওয়া জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকায় পুরো এলাকা লাল-সবুজে ভরে উঠেছে।
অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। মঞ্চের সামনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর একাধিক দল গাড়িতে করে দফায় দফায় পুরো সমাবেশ এলাকা পরিদর্শন করছে। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
ইতোমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ৩০০ ফিট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা ব্যানার ও ত্রিপল বিছিয়ে সড়কের ফুটপাতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে একদিন আগেই পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পাশাপাশি পতাকা, ব্যাজ, মাথার ব্যান্ডসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের মেলা জমে উঠেছে। অস্থায়ী খাবারের দোকানও চালু হয়েছে। ফুটপাতের ওপরে বিরিয়ানি রান্না চলছে।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য মুরসালিন রহমান, বিল্লু রহমান ও সিয়াম জানান, তাঁরা পৌর ছাত্রদলের পক্ষ হতে ৮০ জনের একটি দলের সঙ্গে গত মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে। মুরসালিন রহমান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নেতাকে দেশের বাইরে দেখেছি। এবার সামনে থেকে দেখতে পাব, এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।’
সাধারণ মানুষের মধ্যেও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পূর্বাচল, কুড়িল, এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারাও সন্তানদের নিয়ে মঞ্চ দেখতে এসেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না, কিন্তু তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই দেখতে আসছি কেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী আশা প্রকাশ করে বলেন, তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতই অগ্রাধিকার
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর গুরুতর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া। তবে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় দলের পক্ষ থেকে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত গণ-অভ্যর্থনা মঞ্চে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে থাকবেন।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তারেক রহমান ৩০০ ফিট এলাকায় গণ-অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন। এরপর সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে যাবেন। সেখানে মায়ের পাশে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। পরে হাসপাতাল থেকে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তিনি।’
যুগপৎ সঙ্গীরাও থাকবেন মঞ্চে
তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির বাইরেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী যুগপৎ আন্দোলনের নেতারাও থাকবেন। জানা গেছে, তাঁদের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে ‘বিশেষ কার্ড’ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের মঞ্চে যেতেও অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তারেক রহমানকে বরণে গোটা জাতি প্রস্তুত।’
পরবর্তী কর্মসূচি
দেশে ফেরার পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার পর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাবেন তারেক রহমান। সেখানে জিয়ারত শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হবেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ শেষ করে ভোটার হবেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরবেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইটটির রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর সঙ্গে থাকছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। আরও থাকছে তাঁর আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’।
সব ঠিক থাকলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ঢাকায় অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করবে। ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও প্রটোকলে তিনি পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। মঞ্চে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের যুগপৎ সঙ্গী শরিক দলের শীর্ষ নেতারাও থাকবেন। তবে মঞ্চে শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখবেন।
৩০০ ফিটে সংবর্ধনা মঞ্চ ঘিরে প্রস্তুতি
দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে বরণ করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। রাজধানীর কুড়িল মোড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে ‘জুলাই-৩৬’ সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চ থেকে প্রায় ১৮ বছর পর সশরীরে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঞ্চে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর লেখা রয়েছে—‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মঞ্চে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব বিশেষ নিরাপত্তা দলের (সিকিউরিটি টিম) সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
মঞ্চ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লাগানো হয়েছে কয়েক শ মাইক। বিভিন্ন নেতার উদ্যোগে তারেক রহমানকে স্বাগত বার্তা সংবলিত নানা আকারের ব্যানার টাঙানো হয়েছে এয়ারপোর্ট সড়ক থেকে শুরু করে পুরো মঞ্চ এলাকায়। ৩০০ ফিট সড়কের গাছ যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য গাছে গাছে ঝোলানো হয়েছে গাছ রক্ষাবিষয়ক নানা বার্তা।
কর্মীরা স্লোগানে মুখরিত রেখেছেন মঞ্চের আশপাশ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তাঁদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ অভিনব উপায়ে ধানের শীষ দিয়ে তৈরি পোশাক পরে অন্যদের উজ্জীবিত করছেন। কাউকে মাথায় ধানের শীষের মাথাল পরে গানের তালে তালে নাচতে দেখা গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতে শোভা পাওয়া জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকায় পুরো এলাকা লাল-সবুজে ভরে উঠেছে।
অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। মঞ্চের সামনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর একাধিক দল গাড়িতে করে দফায় দফায় পুরো সমাবেশ এলাকা পরিদর্শন করছে। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
ইতোমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ৩০০ ফিট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা ব্যানার ও ত্রিপল বিছিয়ে সড়কের ফুটপাতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে একদিন আগেই পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পাশাপাশি পতাকা, ব্যাজ, মাথার ব্যান্ডসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের মেলা জমে উঠেছে। অস্থায়ী খাবারের দোকানও চালু হয়েছে। ফুটপাতের ওপরে বিরিয়ানি রান্না চলছে।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য মুরসালিন রহমান, বিল্লু রহমান ও সিয়াম জানান, তাঁরা পৌর ছাত্রদলের পক্ষ হতে ৮০ জনের একটি দলের সঙ্গে গত মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে। মুরসালিন রহমান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নেতাকে দেশের বাইরে দেখেছি। এবার সামনে থেকে দেখতে পাব, এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।’
সাধারণ মানুষের মধ্যেও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পূর্বাচল, কুড়িল, এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারাও সন্তানদের নিয়ে মঞ্চ দেখতে এসেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না, কিন্তু তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই দেখতে আসছি কেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী আশা প্রকাশ করে বলেন, তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতই অগ্রাধিকার
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর গুরুতর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া। তবে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় দলের পক্ষ থেকে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত গণ-অভ্যর্থনা মঞ্চে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে থাকবেন।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তারেক রহমান ৩০০ ফিট এলাকায় গণ-অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন। এরপর সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে যাবেন। সেখানে মায়ের পাশে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। পরে হাসপাতাল থেকে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তিনি।’
যুগপৎ সঙ্গীরাও থাকবেন মঞ্চে
তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির বাইরেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী যুগপৎ আন্দোলনের নেতারাও থাকবেন। জানা গেছে, তাঁদের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে ‘বিশেষ কার্ড’ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের মঞ্চে যেতেও অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তারেক রহমানকে বরণে গোটা জাতি প্রস্তুত।’
পরবর্তী কর্মসূচি
দেশে ফেরার পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার পর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাবেন তারেক রহমান। সেখানে জিয়ারত শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হবেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ শেষ করে ভোটার হবেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’তে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজের জন্য নির্ধারিত সুদৃশ্য ও ‘আলিশান’ চেয়ারটি সরিয়ে তিনি একটি সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেছেন।
১৩ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তিনি এ ঘোষণার পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে এনসিপির হয়ে নির্বাচন না করার কথা জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে সপরিবারের প্রত্যাবর্তনে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
৩ ঘণ্টা আগে